অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে বিশ্লেষণ
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সাম্প্রতিক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিএনপি ও ছাত্রনেতাদের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে কোনো দূরত্ব বা ভুল বোঝাবুঝি কাম্য নয়।
ড. নজরুলের মতে, এই ধরনের বিভক্তি সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের উসকে দিতে পারে, যা গত কয়েক দিনে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, গত কয়েক দিন ফেসবুকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টারা এবং ছাত্রনেতাদের পলায়নের গুজব ছড়িয়ে পড়ে, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজিত করেছে। গুজবের ফলে আতঙ্কিত হয়ে অনেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং প্রকৃত তথ্য জানতে চেয়েছেন।
ড. আসিফ নজরুল তার বক্তব্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো স্পষ্ট করেছেন:
বিএনপি কোনো ষড়যন্ত্র বা ১/১১ ধরনের পরিকল্পনায় আগ্রহী নয়।
ছাত্রনেতারা সরকারে থাকা অবস্থায় কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করছেন না বা কোনো দলে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনাও নেই।
জুলাই ঘোষণাপত্র হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলিল, যা প্রণয়নের ক্ষেত্রে গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মতামতকে গুরুত্ব সহকারে প্রতিফলিত করা হবে।
বিএনপি ও ছাত্রনেতারা নির্বাচন-কেন্দ্রিক বৃহত্তর সমঝোতার বিষয়েও আগ্রহী, তবে তা আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।
ড. নজরুলের মতে, ঐক্যের বিকল্প নেই এবং এই বিভাজন শুধু সরকার দলীয় শক্তিকে আরও বেপরোয়া করে তুলবে। তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগের হাতে বিপুল অর্থ, ক্ষমতাশালী প্রচার নেটওয়ার্ক এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন রয়েছে, যা বিরোধীদের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে।
তাই ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগকে স্মরণ রেখে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।” তিনি আরও বলেন, মতপার্থক্য থাকলেও তা যেন জাতীয় স্বার্থবিরোধী না হয় এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সবাইকে সংযত থাকার পরামর্শ দেন।