জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিনের প্রস্তাবে উঠে এলো নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে সরাসরি ভোটের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বর্তমান ‘সিলেকশন মডেল’-এর পরিবর্তে নারীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে জনগণের ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছেন। সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টির অফিসিয়াল পেজে প্রকাশিত এক স্ট্যাটাসে তিনি এই মত প্রকাশ করেন।
মনিরা শারমিন তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “আমরা নারী আসনে সরাসরি ভোট চাই। নারীরা নারীদের বিরুদ্ধে নির্বাচন করবে, সেখান থেকে জনগণ ভোটের মাধ্যমে নারী নেতৃত্ব নির্বাচিত করবে। বর্তমান পদ্ধতিতে সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০টি, যেটা বিএনপির পক্ষ থেকে বাড়িয়ে ১০০ করতে বলা হচ্ছে; কিন্তু আমরা মনে করি, এভাবে ‘সিলেকশন মডেল’ অনুসরণ করে নারী আসন ভাগাভাগি করলে তৃণমূল থেকে নারী নেতৃত্ব উঠে আসার সুযোগ থাকে না। আমরা বিগত সময় দেখেছি, সংসদে নারী আসনে এমন নারীদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যারা ঠিকমতো বাংলাও পড়তে পারে না। এখানে সুযোগ দেওয়া হয় স্বজনপ্রীতির ভিত্তিতে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, “সারা দেশে এমন অনেক নারী নেতৃত্ব আছেন যারা ভালো সংগঠক, যারা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অবদান রাখতে পারবেন। এর মাধ্যমে নমিনেশন দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে নারী নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়ে আসবে। নারীরা ১০০ আসনের বিপরীতে ২০০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আমরা মনে করি, স্বাধীনতার পর থেকেই যে বন্দোবস্ত আছে, তাতে রাজনীতিতে নারী নেতৃত্ব তৈরি হওয়ার দ্বার রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আমরা তৃণমূল থেকে নির্বাচিত সেই নারীকে জাতীয় রাজনীতিতে দেখতে চাই, যে নিজ মেধা ও যোগ্যতায় সংসদে যাবেন।”
বর্তমানে বাংলাদেশের সংসদে ৫০টি নারী আসন সংরক্ষিত রয়েছে, যা রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়নের ভিত্তিতে পূরণ করা হয়। মনিরা শারমিনের এই প্রস্তাব বর্তমান ব্যবস্থার পরিবর্তনের দাবি তুলে ধরেছে, যা তৃণমূল পর্যায় থেকে যোগ্য নারী নেতৃত্বের উত্থানের পথ সুগম করতে পারে বলে তিনি মনে করেন। তবে এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত্য এবং আইনি সংস্কারের প্রয়োজন হবে, যা আগামী দিনে আলোচনার বিষয় হতে পারে।