ইত্তেফাক, প্রথম আলো, বাংলানিউজ২৪ডটকম ও যুগান্তর-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গাজীপুরসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। এই অপারেশনএর অংশ হিসেবে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দিনেই গাজীপুরের পাঁচটি থানা থেকে আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
প্রথম আলো জানায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরের ধীরাশ্রমে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ছাত্রদের ওপর হামলার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হয়। এরপর ৮ ফেব্রুয়ারির রাত থেকে যৌথ বাহিনী অভিযান চালাতে শুরু করে।
বাংলানিউজ২৪ডটকম প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা যানবাহনে তল্লাশি চালাচ্ছেন। যুগান্তর জানায়, গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী যাবের সাদেক নিশ্চিত করেছেন যে, এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
ইত্তেফাকের প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের দাবি, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কৌশলে তাদের মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে হামলা চালায়। তারা মুখোশধারীদের দ্বারা মারধরের শিকার হন এবং পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত ২০ জনকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যার মধ্যে পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
প্রথম আলো আরও জানায়, ঘটনার প্রতিবাদে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ কর্মসূচি পালন করে এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়।
শনিবার রাতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে হঠাৎ একটি মোটরসাইকেল থেকে গুলি চালানো হয়, যা মোবাশ্বের হোসেন নামে এক ছাত্র আন্দোলন কর্মীকে বিদ্ধ করে। বাংলানিউজ জানায়, তাকে প্রথমে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। এটি চাঁদাবাজ বা মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে নয়, বরং যারা অরাজকতা সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান।’
ইত্তেফাকের প্রতিবেদনে জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। যুগান্তর জানায়, পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করছে।
বাংলানিউজ২৪ডটকম-এর তথ্য অনুযায়ী, ১১ ফেব্রুয়ারি মানবাধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়ে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ১৫০ জন সরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। ইত্তেফাক আরও জানায়, সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে শক্তিশালী করা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ করা।
প্রথম আলো জানায়, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’–এর আওতায় আরও গ্রেপ্তার হতে পারে এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Trending
- সংরক্ষিত আসনে নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে প্রশ্ন কি কি ?
- আনন্দ শোভাযাত্রা: ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধার নাকি ইউনেস্কো স্বীকৃতির প্রশ্ন?
- ঢাকায় গাজা ইস্যুতে জনসমুদ্র, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের নজর
- ঢাকায় ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি, ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি কতটা গভীর?
- কোরিয়ান ব্যবসায়ীকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব, সম্পর্কে নতুন দিগন্ত?
- নারী নেতৃত্বে কি এবার ভোটের অধিকার আসছে?
- গাজায় গণহত্যা: বাংলাদেশ কি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে কার্যকর পদক্ষেপ চায় ?
- ভূমি সেবায় নতুন যুগ , ‘ল্যান্ড সার্ভিস গেইটওয়ে’ কি নাগরিকদের ভোগান্তি কমাবে?