বিভিন্ন পত্রিকার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, হিমাগারে আলু সংরক্ষণের ভাড়া প্রতি কেজিতে ৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএসএ) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হিমাগার সংরক্ষণ খরচ বৃদ্ধি
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন প্রতি কেজি আলু সংরক্ষণের ভাড়া ৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮ টাকা নির্ধারণ করেছে । বিসিএসএর মতে, বিদ্যুৎ বিল, শ্রমিক খরচ ও অন্যান্য ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সময় নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিমাগারের মালিকরা বলছেন, সংরক্ষণ ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বাংলাদেশ জার্নাল জানিয়েছে, হিমাগারে আলু রাখার এই নতুন ভাড়া কৃষকদের জন্য বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে। অনেক কৃষকই উৎপাদন খরচ ও সংরক্ষণ ব্যয়ের মধ্যে পড়ে লোকসানের মুখে পড়ছেন।
আলু চাষিদের সংকট
বাংলা ট্রিবিউন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নীলফামারীর ডিমলায় সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনও হিমাগার না থাকায় অনেক কৃষক মাঠ থেকে আলু তুলতে পারছেন না। ফলে হাজার হাজার মণ আলু ক্ষেতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আইটিভিবিডি জানিয়েছে, কুড়িগ্রামের চাষিরা উৎপাদন খরচের কারণে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। আলুর দাম কম থাকায় কৃষকরা সংরক্ষণ খরচের ভার বহন করতে পারছেন না। তবে, মালয়েশিয়া ও নেপালে আলু রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হলে চাষিরা ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছেন বলে জানিয়েছে জুম বাংলা নিউজ।
অপরাধ বিচিত্রা তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জয়পুরহাটের চাষিরা আশঙ্কা করছেন, সংরক্ষণ ব্যয় বৃদ্ধির ফলে তাদের আলুর লাভ কমে যাবে। অনেকে আলু বিক্রি না করে পরে দাম বাড়ার অপেক্ষায় থাকলেও হিমাগারের অতিরিক্ত খরচের কারণে তারা আরও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
বাজারের প্রভাব
আরটিভি বাংলাদেশ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি আলুর দাম ৫ টাকা কমে ১০ টাকা হয়েছে। সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমেছে বলে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
জাগোনিউজ২৪-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে, হিমাগারে সংরক্ষণের খরচ যৌক্তিকভাবে বাড়ানো হয়েছে।
দৈনিক তৃতীয় মাত্রার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নওগাঁর নিয়ামতপুরে কৃষকদের জন্য আলু এখন বড় ধরনের সমস্যায় পরিণত হয়েছে। উৎপাদনের তুলনায় সংরক্ষণের সুবিধা না থাকায় কৃষকরা লোকসান গুনছেন।
অর্থনৈতিক চাপ এবং সংরক্ষণের খরচ বৃদ্ধি কৃষকদের জন্য বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি করছে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি এই সমস্যা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে কৃষকদের আরও বড় লোকসানের মুখে পড়তে হতে পারে।