দৈনিক “নয়া দিগন্ত” জানায়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শেখ হাসিনার বিদেশ সফর এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ডক্টরেট ডিগ্রির বৈধতা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
গোয়েন্দা অনুসন্ধানে প্রাথমিক অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, শেখ হাসিনা তার বিদেশ সফরের জন্য বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ ব্যয় করেছেন।
উদাহরণস্বরূপ, ২০১৫ সালে তিনি ২২৭ জনের একটি দল নিয়ে নিউইয়র্ক সফর করেন, যা অতিরিক্ত ব্যয়ের তালিকায় রয়েছে।
২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজে ২৫০ কোটি টাকার ৪৮টি ভিভিআইপি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে।
এছাড়া, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া ডিগ্রিগুলো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির অমিলে ছাত্রসংগঠনগুলো অখুশি
প্রথম পাতার প্রতিবেদনে দৈনিক “আজকের পত্রিকা” জানায়, গণ-অভ্যুত্থানের ছয় মাস পর ছাত্র সংগঠনগুলো সরকারের প্রতি হতাশা প্রকাশ করেছে।
এসব সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারা যে আশা করেছিলেন, তার বেশিরভাগই পূরণ হয়নি।
তারা অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া ধীরগতিতে চলছে, শহীদদের ক্ষতিপূরণ বা সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়নি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।
এছাড়া, পণ্যমূল্য বৃদ্ধি, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও উগ্রপন্থীদের দমন করতে ব্যর্থতার বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
ইসলামী ছাত্র শিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন সরকারের দুর্বলতা ও আমলাতান্ত্রিক সমস্যার কথা তুলে ধরেছে। তারা মনে করেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে কার্যকরী পদক্ষেপ প্রয়োজন, যা এখনও দৃশ্যমান হয়নি।
তাদের মতে, বর্তমান সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষ্য পূরণে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারেনি।
“দেশজুড়ে ভাঙচুর আগুন”
দৈনিক “কালের কণ্ঠ” জানায়, ভারত থেকে শেখ হাসিনার বক্তৃতা প্রচারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার রাতে ঢাকার ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর হয়।
বিক্ষোভকারীরা শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভেঙে এক্সকাভেটর দিয়ে ধ্বংস শুরু করে এবং ধানমন্ডির সুধা সদনে আগুন দেয়।
পরবর্তীতে কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, বরিশাল ও রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
বিশেষত কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে হামলা এবং নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের দাদার বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া, আওয়ামী লীগ অফিস, মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য, এবং শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালও ভাঙচুর করা হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
“গুঁড়িয়ে দেয়া হলো ৩২ নম্বরের বাড়ি”
দৈনিক “প্রথম আলো” জানায়, ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটি বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর ও ধ্বংস করে দিয়েছে।
গত বুধবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত এক্সকাভেটর, ক্রেন ও বুলডোজার দিয়ে বাড়িটির বেশিরভাগ অংশ ভেঙে ফেলা হয়।
বিক্ষোভকারীরা বাড়িটিতে আগুন লাগিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
এসময় আশপাশের বাড়িগুলো থেকেও বিভিন্ন সামগ্রী লুট করা হয় এবং কিছু বই পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীরা স্বৈরাচারবিরোধী স্লোগান দেয় এবং শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও আগুন লাগিয়ে দেয়।
নিরাপত্তারক্ষীরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
“রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিশিষ্ট জনের নিন্দা”
দৈনিক “সমকাল” জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় রাজনৈতিক দল, বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সংগঠনগুলো মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
অনেকেই এ ঘটনার নিন্দা করেছেন এবং বলেছেন, ভবন ভেঙে আওয়ামী লীগের শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা যায় না।
তবে কিছু ব্যক্তি দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।
বিএনপির নেতারা এই ঘটনাকে দেশের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য একটি উসকানি হিসেবে দেখছেন। জামায়াতে ইসলামীর নেতারাও শেখ হাসিনাকে দায়ী করেছেন।
“বাস্তবায়নযোগ্য নয় অধিকাংশ সুপারিশ”
দৈনিক “যুগান্তর” জানায়, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের বেশিরভাগ সুপারিশ বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মতে, প্রশাসনিক পদোন্নতির সুপারিশ আদালতের রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং প্রাদেশিক ব্যবস্থা চালু করা স্বাধীনতা আন্দোলন উসকে দিতে পারে।
এছাড়া, রাষ্ট্রের জন্য কয়েক লাখ কোটি টাকা খরচ করা সম্ভব নয়, তাই প্রশাসনের পরিসর বাড়ানোর সুপারিশও অকার্যকর হবে।
তারা আরও বলেন, প্রশাসনের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা গেলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।
রেমিট্যান্সের বাজারে অলিগোপলি তৈরি করেছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান
দৈনিক “বণিক বার্তা” জানায়, বাংলাদেশের রেমিট্যান্স বাজারে মাস্টারকার্ড, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আধিপত্য বিস্তার করেছে।
এতে প্রতিযোগিতা কমে যাচ্ছে এবং অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।
ওমরাহ করিয়ে রাশিয়ার যুদ্ধ ক্ষেত্রে পাচার
দৈনিক “দেশ রূপান্তর” জানায়, ‘ড্রিম হোম ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ওমরাহ ভিসার নামে ১০ জনকে রাশিয়ায় পাচার করেছে।
এই ভুক্তভোগীদের রুশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। কেউ যুদ্ধে যেতে অস্বীকার করলে তাদের উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে।
সিআইডি এই চক্রটি ভাঙতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং ভুক্তভোগীদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।