স্টাফ রিপোর্টার ঃ তিতুমীর কলেজকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আরো তীব্রতর হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের টানা অনশন ও সড়ক অবরোধের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই কলেজের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায়, “জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় বা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়—এমন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার জন্য আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।”
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও অবরোধ
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন, যার ফলে গুলশান-মহাখালী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আন্দোলনকারী নেতা নায়েক নূর মোহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-কে বলেন,”শনিবার বিকাল ৪টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা না এলে উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় সড়ক অবরোধ করব বলে ঘোষণা দিয়েছিলাম।
সেই অনুযায়ী ক্যাম্পাসের সামনের রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে মহাখালী, গুলশান ও বিমানবন্দর সড়কও অবরোধ করা হবে।”
ইত্তেফাক ডিজিটাল ডেস্ক জানায়, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে। কলেজের ভেতরে অবস্থান নিয়ে চলছে বিক্ষোভ ও আমরণ অনশন। ইতোমধ্যে ১০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি কি কি ?
প্রথম আলো-এর প্রতিবেদন অনুসারে, শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:
- রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ।
- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা।
- শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলে তাদের আবাসিক খরচ বহন।
- ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ‘আইন’ ও ‘সাংবাদিকতা’ বিভাগ সংযোজন।
- যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডি শিক্ষক নিয়োগ।
- শিক্ষার মান উন্নয়নে আসন সংখ্যা সীমিতকরণ।
- গবেষণার জন্য জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত।
আগামী দিনের কর্মসূচি কি ?
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, যদি তাদের দাবি মানা না হয়, তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। ইত্তেফাক জানায়, আন্দোলনকারীরা ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, যার আওতায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি ও চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা এখন সবার নজরে রয়েছে।