সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে তদন্তাধীন অবস্থায় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর এটি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়েছে।
পদত্যাগের কারণ ও পটভূমি
বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ উঠার পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে। প্রথম আলো ও কালের কণ্ঠের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের ১৬ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও আইনজীবী সংগঠনের বিক্ষোভের পর হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতিকে বেঞ্চ দেওয়া হয়নি, যা বিচার বিভাগের অভ্যন্তরীণ সংকটের ইঙ্গিত বহন করে।
তদন্ত ও বিচারকদের ভূমিকা
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানায়, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল কয়েকজন বিচারপতির আচরণের বিষয়ে তদন্ত করছে। কালের কণ্ঠ ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের তথ্য অনুসারে, ৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কাউন্সিলকে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তের নির্দেশ দেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নূরউদ্দিন ছুটিতে যান এবং পরবর্তীতে পদত্যাগ করেন।
প্রেক্ষাপট ও অতীত রায়
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিচারপতি নূরউদ্দিন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দিয়েছিলেন, যা রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ক্ষমতার পরিবর্তনের পর সেই রায় বাতিল হওয়ায় এটি নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে আসে।
ভবিষ্যৎ প্রভাব
এই পদত্যাগ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। প্রথম আলো ও কালের কণ্ঠের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে বিচারকদের আচরণ ও কার্যপ্রণালী নিয়ে নজরদারি আরও বাড়তে পারে।