আজকের পত্রপত্রিকার শিরোনাম
দৈনিক সংবাদ
এবার গণঅভ্যুত্থানের সনদ, তার ভিত্তিতেই নির্বাচন: ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে একটি গণঅভ্যুত্থানের সনদের ভিত্তিতে। সব দলের মতামত নিয়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা হবে, যা নির্বাচনের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
ড. ইউনূস বলেন, এই সনদ হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের পথপ্রদর্শক। এটি কোনো দলীয় নয়, বরং জাতীয় কমিটমেন্ট হিসেবে বাস্তবায়িত হবে। তিনি বলেন, সব পক্ষের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সনদটি তৈরি হবে এবং এর মাধ্যমে গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সাম্যের ভিত্তি আরও দৃঢ় হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সনদের মূল উদ্দেশ্য হবে দেশের শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। ড. ইউনূস সতর্ক করে বলেন, যদি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত না হয়, তবে এই চার্টার তার গৌরব হারাবে।
এই সনদ নিয়ে আলোচনা এবং মতামত গ্রহণ একটি নতুন অধ্যায় শুরু করবে, যা দেশের ভবিষ্যতের জন্য ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করবে।
দ্য ডেইলি স্টার
Crafting the path ahead
চারটি সংস্কার কমিশন (সংবিধান, নির্বাচন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন) অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে। সংবিধানের সংস্কারের প্রস্তাবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও বহুত্ববাদকে মূলনীতি হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সংসদে দ্বিকক্ষ ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যেখানে নিম্নকক্ষে ৪০০ এবং উচ্চকক্ষে ১০৫ জন সদস্য থাকবে। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি “না ভোট” পুনরায় চালু, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পরিহার এবং ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়লে পুনরায় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশনেও জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধির প্রস্তাব রয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতীয় কৌশল প্রণয়ন এবং পুলিশি মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে প্রযুক্তির ব্যবহারসহ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই সুপারিশগুলো দেশের শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও গণতন্ত্রের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
প্রথম আলো
এক ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়
সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রস্তাব করেছে, একজন ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তার রাজনৈতিক দলের প্রধান বা সংসদ নেতা থাকার বাধ্যবাধকতাও তুলে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া সংবিধানের নাম পরিবর্তন করে “জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ” করার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তাবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রকে শাসনব্যবস্থার মূলনীতি হিসেবে সংযোজনের কথা বলা হয়েছে।
দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে নিম্নকক্ষে ৪০০ এবং উচ্চকক্ষে ১০৫ সদস্য রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিত করে সর্বাধিক দুবার নির্বাচিত হওয়ার বিধান প্রস্তাবিত হয়েছে।
সংবিধানের সংস্কার প্রস্তাবগুলো শাসনব্যবস্থায় গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে প্রণয়ন করা হয়েছে। কমিশন আশা করছে, এসব প্রস্তাব দেশের ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
মানবজমিন
শিরোনাম: টিউলিপ কাণ্ডে বৃটেনের রাজনীতিতে উত্তাপ
ব্রিটিশ রাজনীতিতে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি একটি ফ্ল্যাট উপহার গ্রহণ করেছেন এবং রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিজের পরিবারের জন্য আর্থিক সুবিধা অর্জন করেছেন।
প্রথমে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। বিরোধীরা অভিযোগ করছেন, প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার দুর্নীতির অভিযোগে যথাসময়ে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে টিউলিপ তার মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তার পদত্যাগ ব্রিটিশ রাজনীতিতে দুর্নীতি এবং নেতৃত্বের দায়বদ্ধতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
নয়া দিগন্ত
পুতুলকে ‘হু’ থেকে অপসারণে গণস্বাক্ষরে ব্যাপক সাড়া
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কর্মকর্তা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অপসারণের দাবিতে একটি গণস্বাক্ষর প্রচারণা চলছে। “অ্যাক্ট নাও বাংলাদেশ” নামক একটি মানবাধিকার সংগঠন এ প্রচারণা শুরু করেছে, যা ইতিমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
পিটিশনে অভিযোগ করা হয়েছে, পুতুল তার মায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমর্থনে কাজ করছেন। বিশেষ করে ২০২৪ সালে ছাত্র আন্দোলন দমনে সরকারের ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে তার নিরপেক্ষতার বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ দাবিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৪০০ জন গণস্বাক্ষর করেছেন। প্রচারণাকারীরা পুতুলের ভূমিকা ডব্লিউএইচও-এর নীতি ও নিরপেক্ষতার পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছেন।
বণিক বার্তা
এশিয়ার মধ্যে সবার নিচে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার
বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। ২০২৪ সালের শেষে বাজার মূলধন মাত্র ২৯৯৬ কোটি ডলার, যা এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।
বাজার মূলধনের অনুপাত জিডিপির সাথে খুবই কম, কর্পোরেট সুবিধার অভাব এবং নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তি না হওয়া এই পিছিয়ে পড়ার বড় কারণ। এমনকি শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো অর্থনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে থাকা দেশও বাংলাদেশের তুলনায় ভালো করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যাওয়া, কর ও নীতিগত জটিলতা এবং স্বচ্ছতার অভাব এই খাতের দুর্বল অবস্থার জন্য দায়ী। দীর্ঘমেয়াদে উন্নতির জন্য বাজারের কাঠামোগত সংস্কার অত্যাবশ্যক বলে তারা মত দিয়েছেন।
সমকাল
শিরোনাম: গ্রাফিতি ঘিরে কর্মসূচি হামলায় আহত ৩৩
বাংলাদেশের মতিঝিল এলাকায় “আদিবাসী” শব্দ সংবলিত গ্রাফিতি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। আদিবাসী ছাত্র-জনতা গ্রাফিতি পুনর্বহালের দাবিতে প্রতিবাদ জানালে, স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়, যাতে ৩৩ জন আহত হন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য লাঠিচার্জ করে। আহতদের মধ্যে বেশিরভাগ আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্য। সংঘর্ষের সময় আক্রমণকারীরা লাঠিসোটা ব্যবহার করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল, তবে সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়নি। উভয় পক্ষের এখনও থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি।
দেশ রূপান্তর
শিরোনাম: নির্বাচনে আর বাধা নেই খালেদা জিয়ার
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালাস পাওয়ার মাধ্যমে তার ১৭ বছরের সাজা বাতিল হয়েছে। এই রায় দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ এক মাইলফলক হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষত বিএনপির জন্য। খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে মামলা এবং রাজনৈতিক কারণে সরে থাকলেও, তার এই মুক্তি বিএনপির জন্য একটি বড় ধরণের শক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল। তবে, এই মামলার রায়ে তার সাজা বাতিল হওয়ায় আগামী নির্বাচনে তার অংশগ্রহণে আর কোনো বাধা রইল না।
এটি বিএনপির জন্য রাজনৈতিক পুনরুত্থানের একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে, যা আগামীতে দলের শক্তি পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে। তবে, বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু মামলার বিচার কাজ এখনও চলমান রয়েছে, কিন্তু এই রায়ের পর তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হতে পারে।
কালের কণ্ঠ
শিরোনাম: খেলাপি না হতে ছয় মাস সময় চান ব্যবসায়ীরা
ব্যবসায়ীরা ঋণ পরিশোধের জন্য ছয় মাস সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। তাদের অভিযোগ, উচ্চ সুদের হার এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর শর্তের কারণে তাদের ঋণ পরিশোধে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যবসা খাতে চলমান অর্থনৈতিক চাপ ও ঋণের বোঝা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে।
ব্যবসায়ীরা সুদের হার হ্রাস এবং সহজ ঋণপ্রদান ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে বলছেন, এসব সুবিধা না পেলে তারা তাদের ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না। তারা সরকারের কাছে এই বিষয়গুলোর সমাধান চেয়ে ছয় মাসের সময় বাড়ানোর আবেদন করেছেন। তাদের মতে, ঋণ পরিশোধের জন্য আরও সময় পেলে ব্যবসা সচল রাখা সম্ভব হবে, এবং দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বিশ্ববিদ্যালয় এবং আর্থিক বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছেন, যেন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরো বিপদগ্রস্ত না হয়।