২০২৪ সালের ৪ আগস্ট থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ঘটে যাওয়া বেশিরভাগ আক্রমণ আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল, এমন দাবি করেছে পুলিশ। তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব হামলায় সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্য কমই ছিল। সরকার ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশ হামলার প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্বসহকারে তদন্ত করেছে। এর মধ্যে প্রায় ৬২টি মামলা দায়ের হয়েছে এবং ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে ১ হাজার ২৩৪টি ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ২০টি ঘটনা সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যে আক্রমণ বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
তবে, ১৬১টি অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকেই ১ হাজার ৭৬৯টি সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ৮২.৮% ঘটনাই ৫ আগস্টের পরের দিনগুলোতে ঘটেছে।
যদিও পুলিশ সংখ্যালঘুদের অভিযোগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বর্তমানে ১১৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ এখন সারা দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিটি অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে এবং বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে যাতে জনগণ সহজেই অভিযোগ জানাতে পারে।
এই প্রতিবেদন থেকে আরও স্পষ্ট হয়েছে যে, দেশের সাম্প্রতিক সহিংসতায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যগুলি অনেকাংশে প্রাধান্য পেয়েছে, যা সংঘাতের প্রকৃত কারণ এবং দায় নির্ধারণে সহায়ক হতে পারে।
সূত্র: বাসস