এডুয়ার্ডো ব্যাপ্টিস্টা, হিউনসু ইম এবং জয়েস লির ,৩ জানুয়ারি ( রয়টার্স)-এ লেখা প্রতিবেদনে বলা হয়
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়োলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি অভিযান শুক্রবার ব্যর্থ হয়েছে। মার্শাল ল ঘোষণার পর তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, তবে সমর্থকদের প্রতিবাদ ও নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার কারণে কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি ।
প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছে ভোর বেলায় ইউন-এর শত শত সমর্থক জড়ো হয়। তারা গ্রেপ্তারি প্রচেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়ে শপথ করেন যে, ইউনকে গ্রেপ্তার করতে তারা বাধা সৃষ্টি করবেন এবং এ ঘটনার আইনি লড়াইয়ের পক্ষে লড়ে যাবেন ।
ঐ প্রতিবেদনে আরো বলা হয় , আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ইউন-এর বাসভবনে প্রবেশ করলেও, প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার কারণে তারা অগ্রসর হতে ব্যর্থ হয়। এই পরিস্থিতি উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে , কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তারের চেষ্টা আপাতত স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে।
ইউন-এর আইনজীবী এই গ্রেপ্তারি প্রচেষ্টাকে অবৈধ বলে দাবি করেছেন এবং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
ইউন সুক-ইয়োলের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তার বিরুদ্ধে মার্শাল ল ঘোষণার চেষ্টার কারণে “বিদ্রোহের” অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইউন এর আগেও ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি “শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন” এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কখনই মেনে নেবেন না। অভিশংসনের বিচার এখনো চলছে, এবং এই প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ফলাফল দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করতে পারে ধারনা করা হচ্ছে ।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এই ঘটনাটি এক নজিরবিহীন ঘটনা, যেখানে এক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।