জাহাজ সেভেন মার্ডার: ধর্মান্তরিত ইরফানের অজানা কাহিনীতে জানা যায়
দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত খবরের সুত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় , চাঁদপুরের মেঘনা নদীর বুকে ভাসমান একটি জাহাজে সংঘটিত সাত খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ইরফানের জীবন কাহিনী দেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর গ্রামের সাধারণ পরিবারে জন্ম নেওয়া আকাশ মণ্ডল, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাম পরিবর্তন করে তার নাম রাখেন ইরফান। ইরফানের জীবনের বিভিন্ন মোড় ও মর্মান্তিক পরিণতি নিয়ে উন্মোচিত হয়েছে অজানা এক মর্মান্তিক জীবন কাহিনী।
তার পরিবারের বিভিন্ন প্রতিকুলতায় পারিবারিক ভাঙন ঘটে ও তার ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘটনা ইরফানের বাবা জগদীশ মণ্ডলের মৃত্যুর পর পরিবারটি বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। তার মা দুই সন্তানকে রেখে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করেন। তার মায়ের জিবনের এই পট পরিবর্তনিক অবস্থা আকাশ মণ্ডল ও তার বড় ভাই বিধান মণ্ডল বাধ্য হয়ে (পরবর্তীতে আবির হোসেন) নানাবাড়িতে বড় হন। নানা-নানির মৃত্যুর পর দুজনই অনাথ অবস্থায় বড় হন।
বড় ভাই আবির হোসেন মায়ের পথ অনুসরন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নিজস্ব পথ বেছে নেন। ২০১৮ সালে আকাশ মণ্ডলও একটি মুসলিম মেয়ের সঙ্গে প্রেমের জেরে এলাকা ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং ইরফান নাম ধারণ করেন। এরপর তিনি কর্ম জিবনে নৌযানে খালাসি হিসেবে কাজ শুরু করেন। যদিও তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম আকাশ মণ্ডলই রয়ে যায়।
ঘটনার বিবরণ ও তদন্তের অগ্রগতি সাম্প্রতিক সাত খুনের ঘটনায় ইরফান জাহাজের মাস্টারের প্রতি বেতন-ভাতা নিয়ে অসন্তোষ এবং দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে জানা ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সাতজনকে হত্যা করেন, যায়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন।
ইরফান পূর্বে এলাকায় ছোটখাটো অপরাধে জড়িত ছিলেন, ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছে । তবে সহিংসতার কোনো নজির ছিল না তার। পুলিশ তাঁর মানসিক স্থিতিশীলতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি ।
গ্রেপ্তার ও আইনি প্রক্রিয়া হত্যাকাণ্ডের পর ইরফান আত্মগোপনে চলে যান । পরে বাগেরহাটের চিলমারী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশ পুলিশ। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন এবং হত্যার বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
সাম্প্রতিক ঘটনার সামাজিক প্রভাব জাহাজে সংঘটিত এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এক ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
উৎস: বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম।