গতকাল গভীর রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যা দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবন। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট দীর্ঘ দশ ঘণ্টার নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এই ভবনে অর্থ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দপ্তর রয়েছে, যা এই ঘটনাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ নিশ্চিত না হলেও, ঘটনাটি সচিবালয়ের অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এবং কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যে তৎপরতা দেখিয়েছেন, তা প্রশংসনীয় হলেও ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে অনুভূত হচ্ছে।
সচিবালয়ে আগুন: গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দপ্তর ক্ষতিগ্রস্ত
সমকাল পত্রিকার তথ্যে জানা যায় ,রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দপ্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সমকাল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এ ভবনে অর্থ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ আরও বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দপ্তর অবস্থিত। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় এসব দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ নথি ও সামগ্রীর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের টানা দশ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও, ক্ষয়ক্ষতির পুরো চিত্র এখনও স্পষ্ট নয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ শুরু করেছেন। এই অগ্নিকাণ্ড প্রশাসনিক ভবনের অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করেছে, যা জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, মন্ত্রণালয়ের দপ্তরগুলোর মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, ডাটাবেস এবং সরঞ্জাম থাকায় এই ধরনের দুর্ঘটনা বড় ধরনের প্রশাসনিক জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এই ঘটনার পর সচিবালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি অগ্নি-নিরাপত্তা পরিকল্পনার আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে।
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড: সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
দি ডেইলি স্টারের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। দি ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীমের নেতৃত্বে গঠিত সাত সদস্যের এই কমিটি ঘটনার কারণ এবং দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করবে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই অগ্নিকাণ্ডে সচিবালয়ের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দপ্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে, গুরুত্বপূর্ণ নথি ও সরঞ্জামের ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্ত প্রতিবেদন থেকে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফায়ার সার্ভিস জানায়, ভবনের অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল না এবং অভ্যন্তরীণ ডেকোরেশন আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।
এই ঘটনা সচিবালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং অগ্নি-নিরাপত্তা পরিকল্পনার ঘাটতিকে সামনে এনেছে। জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টিকারী এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে প্রশাসনিক ভবনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদ আরও জোরালো হয়েছে।
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড ষড়যন্ত্র হতে পারে: উপদেষ্টার মন্তব্য
দৈনিক ইত্তেফাকের খবরে বলা হয় ,বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দায়ীদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া মনে করেন, সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনে এমন ঘটনা ঘটানো ইচ্ছাকৃত হতে পারে। তিনি বলেছেন, “এটি নিছক দুর্ঘটনা নয় বরং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
অগ্নিকাণ্ডে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ একাধিক মন্ত্রণালয়ের দপ্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘ দশ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে ক্ষতির প্রকৃত চিত্র নির্ধারণে তদন্ত চলছে।
সরকার ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীমের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সচিবালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও অগ্নি-নিরাপত্তা পরিকল্পনার সীমাবদ্ধতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। উপদেষ্টার মন্তব্যের পর ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে আলোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড: তদন্তের আগে নিশ্চিত নয় কারণ
বিডি নিউজ২৪ খবরে বলা হয়, রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল জানিয়েছেন, ভবনের অভ্যন্তরীণ সজ্জা বা ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন সম্ভবত আগুন দ্রুত ছড়ানোর কারণ হতে পারে। তবে চূড়ান্ত কারণ জানতে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
এই অগ্নিকাণ্ড সচিবালয়ের অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দপ্তর থাকা এই ভবনে এমন একটি ঘটনা দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনে আধুনিক অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা ঘটায় ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজন রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট টানা দশ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পুরো চিত্র এখনও স্পষ্ট নয়, তবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি ও সরঞ্জামের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীমের নেতৃত্বে এই কমিটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ এবং প্রশাসনিক ভবনগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার প্রয়োজনীয়তা নতুন করে আলোচনায় এসেছে। সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ ধরনের দুর্ঘটনা ভবিষ্যতে এড়াতে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।