আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন এবং ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এসব বক্তব্য ও কর্মসূচির খবর প্রকাশিত হয়েছে।
‘দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস’ জানিয়েছে, জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “পেছনে পুলিশ, সামনে স্বাধীনতা” বলা সেই ছাত্রী সানজিদাকে তিনি স্যালুট জানান। তিনি আরও বলেন, “জামায়াতকে কেউ দাবার ঘুঁটি বানালে তা মেনে নেওয়া হবে না।” এদিকে, ‘এমটিনিউজ২৪’ একই বিষয়ে উল্লেখ করেছে, জামায়াত আমির সানজিদার সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন।
‘ডেইলি ইনকিলাব’ প্রকাশ করেছে, শাকিল উজ্জামান বলেছেন, “ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করার অনুপ্রেরণা।” তিনি জনগণকে এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। অন্যদিকে, ‘কালের কণ্ঠ’ জানিয়েছে, জামায়াত আমির বলেছেন, “ইতিহাস নির্মম, কাউকে ছাড় দেয় না,” যা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ ও ‘ডেইলি নবচেতনা’ উভয়ই জানিয়েছে, জামায়াত আলোচনা সভা ও দোয়ার মাধ্যমে শহীদ দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েছে। একই সুরে, ‘এফএনএস২৪’ প্রকাশ করেছে, জামায়াত আমির ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে এই কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
‘ডেইলি জনকণ্ঠ’ জানিয়েছে, ডা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, “আগে ছিল হেলমেট বাহিনী, হাতুড়ি লীগ আর এখন রামদা-দল,” যা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সমালোচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এদিকে, ‘আমাদের সময়’ উল্লেখ করেছে, জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতে, “ফলক থেকে নাম মুছে দিয়ে ভাষা আন্দোলনে গোলাম আযমের অবদান মুছে ফেলা যাবে না।”
‘খুলনা গেজেট’ প্রকাশ করেছে, “ভাষা শহীদদের চেতনা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি,” বলে জামায়াত নেতারা মনে করেন। ‘খবর সংযোগ’ জানিয়েছে, “ফ্যাসিবাদ যতই ফিরার চেষ্টা করুক, প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না,” যা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার প্রতি ইঙ্গিত করে। ‘ডেইলি অবজারভার’ এর খবরে বলা হয়েছে, “আমরা ফ্যাসিবাদের জ্বালা থেকে এখনও মুক্ত হতে পারিনি।”
‘ডেইলি বাংলাদেশের আলো’ উল্লেখ করেছে, ড. কেরামত আলী বলেছেন, “ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে।” এছাড়া, ‘ডেইলি করতোয়া’ জানিয়েছে, জামায়াত আমিরের ভাষ্যমতে, “ভাষা শহীদদের পরিবারকে সম্মান দিতে রাষ্ট্র ব্যর্থ।”
সাংবাদিক মহল মনে করছে, জামায়াত নেতৃবৃন্দের এসব বক্তব্য ও কর্মসূচির মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরার পাশাপাশি বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সমালোচনা করা হয়েছে। আজকের দিনে এই আহ্বান ও বক্তব্যগুলো জনমনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।