বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমান সরকারের প্রতি তীব্র সমালোচনা করেছেন। তার বক্তব্যগুলোতে দেখা যায়, তিনি স্থানীয় নির্বাচনের সময়সূচী এবং সরকারের গোপনীয় রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে উদ্বিগ্ন।
প্রথম আলো থেকে জানা গেছে, ফখরুল বলেন, “স্থানীয় নির্বাচন আগে হলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা গর্ত থেকে বেরিয়ে আসবে।” এর মাধ্যমে তিনি ইঙ্গিত করেছেন যে, আগাম নির্বাচনে সামাজিক শান্তি ভঙ্গ হতে পারে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে তিনি বলেন, “ব্যবস্থা না নিলে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা থাকবে না।” এই মন্তব্যে তিনি সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
মানবজমিন থেকে আরেকটি বক্তব্য শোনা গেছে, “সরকারে থেকে কতিপয় উপদেষ্টা নতুন দল গঠনের কৌশল নিচ্ছেন।” ফখরুল এই বক্তব্য দিয়ে সরকারের ভিতর থেকে ক্ষমতা বণ্টনের কৌশলকে নিন্দা করেছেন। তার বক্তব্যের ধারা থেকে বোঝা যায়, তিনি সরকারের নীতি ও কর্মকাণ্ডের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে তিনি আরও বলেন, “সরকারে থেকে দল গোছানোর কৌশল নিতে দেব না।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি সরকারের ভিতর থেকে কোনও নতুন রাজনৈতিক পার্টি গঠনের বিরোধিতা করেছেন।
ফখরুলের এই বক্তব্যগুলি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কঠিনত্বকে প্রকাশ করে, যেখানে নির্বাচনের আগে জনসাধারণের কাছে সরকারি আচরণের বিশ্বস্ততা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তার এই বক্তব্যগুলি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং জনগণের মধ্যে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সাধারণ জনগণ দুইদিকেই নজর রাখছেন যে, এই সমালোচনা কি কোনও পরিবর্তন আনতে পারবে, নাকি এটি রাজনৈতিক সংঘাতের আরেকটি অধ্যায় হবে।