তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যা ও মহাপরিকল্পনার দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে উঠেছে। আন্দোলনে সাধারণ মানুষ, কৃষক, মৎস্যজীবী, পরিবেশবিদ এবং রাজনৈতিক নেতাদের অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে।
প্রথম আলো জানায়, আন্দোলনে অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা উঠে এসেছে। নদীর পানি সংকটের ফলে কৃষি ও জীবিকার ওপর যে প্রভাব পড়ছে, তা আন্দোলনকারীরা তুলে ধরছেন। আজহার আলী ও সিরাজুল ইসলাম নামে দুজন কৃষকের বক্তব্যে তারা জানান, পানির অভাবে চাষাবাদ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আন্দোলনে সাংস্কৃতিক কর্মসূচিও থাকছে, যেখানে নাটক, সংগীত ও সেমিনারের মাধ্যমে তিস্তা নদীর গুরুত্ব তুলে ধরা হচ্ছে।
ইত্তেফাকের প্রতিবেদনে আন্দোলনের রাজনৈতিক দিকটি গুরুত্ব পেয়েছে। তারা আন্দোলনকে “ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী সমাবেশ” হিসেবে উল্লেখ করেছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আন্দোলনকারীরা শত শত তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। আন্দোলনকারীরা ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশের কৃষি ও পরিবেশের ক্ষতির কথা জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন।
সমকাল জানায়, আন্দোলনকে “দেশের স্বার্থ রক্ষায় ভারতের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল” হিসেবে দেখা হচ্ছে। তারা জানিয়েছে, আন্দোলনের কর্মসূচির আওতায় নদীর দুই তীরে ২৩০ কিলোমিটারজুড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। আন্দোলনকারীরা তিস্তা পানি চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়ন এবং অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ প্রতিদিন জানায়, আন্দোলনকারীরা “তিস্তা বাঁচাও, বাংলাদেশ বাঁচাও” স্লোগান তুলেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নদীর পানি সংকটে কৃষি, মৎস্য ও পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। সরকার এখনো তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি বলে আন্দোলনকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নয়া দিগন্তের প্রতিবেদনে আন্দোলনের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিকটি গুরুত্ব পেয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে, বিএনপি, বাম দল এবং বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। প্রতিবেদনে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা ভবিষ্যতে রাজধানীতে বড় সমাবেশের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন।
এদিকে, আন্দোলন নিয়ে প্রশাসনের তরফ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আন্দোলনকারীরা জানান, তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
Trending
- সংরক্ষিত আসনে নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে প্রশ্ন কি কি ?
- আনন্দ শোভাযাত্রা: ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধার নাকি ইউনেস্কো স্বীকৃতির প্রশ্ন?
- ঢাকায় গাজা ইস্যুতে জনসমুদ্র, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের নজর
- ঢাকায় ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি, ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি কতটা গভীর?
- কোরিয়ান ব্যবসায়ীকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব, সম্পর্কে নতুন দিগন্ত?
- নারী নেতৃত্বে কি এবার ভোটের অধিকার আসছে?
- গাজায় গণহত্যা: বাংলাদেশ কি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে কার্যকর পদক্ষেপ চায় ?
- ভূমি সেবায় নতুন যুগ , ‘ল্যান্ড সার্ভিস গেইটওয়ে’ কি নাগরিকদের ভোগান্তি কমাবে?