“পাঠ্যবইয়ে বড় পরিবর্তন: শিক্ষাখাতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ” এটি দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে শিক্ষাখাতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। সারাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা প্রথমবারের মতো নতুন পাঠ্যবই হাতে পেয়েছে। এই পরিবর্তনকে যুগান্তকারী হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে, কারণ এতে শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক জ্ঞান ও ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জনের পথ সুগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, নতুন পাঠ্যক্রমে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞান, গণিত, পরিবেশবিদ্যা, এবং সাহিত্য শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা উন্নত করার জন্য সাজানো হয়েছে। এই বইগুলোতে সাধারণ পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি পরিবেশ, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন নিয়ে আলাদা অধ্যায় রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “নতুন পাঠ্যবইগুলো আমাদের শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানে উত্তীর্ণ করতে সাহায্য করবে। আমরা চাই তারা শুধু পরীক্ষায় ভালো ফল করেই থেমে না থাকে, বরং ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের উপযুক্ত করে তুলতে পারে।”
তবে নতুন পাঠ্যবই বিতরণ প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু চ্যালেঞ্জও দেখা দিয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এখনো সব বই হাতে পায়নি। একাধিক জায়গায় বইয়ের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পাবনার এক শিক্ষিকা বলেন, “বইয়ের বিষয়বস্তু ভালো হলেও কিছু জায়গায় ছাপার ত্রুটি রয়েছে। এগুলো দ্রুত সমাধান করা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই উদ্যোগ শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটাবে, তবে এটি টেকসই করতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক বলেন, **”শিক্ষার ক্ষেত্রে যে কোনো নতুন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তবে এটি কার্যকর করতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং পর্যাপ্ত সরঞ্জামের ব্যবস্থা করতে হবে।শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন পাঠ্যবই বিতরণ একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ হলেও, এর টেকসই বাস্তবায়নে সরকারি নজরদারি এবং নিয়মিত মূল্যায়ন প্রয়োজন।
“আ. লীগের পতনের আগে করা ৩৫ মামলা সাজানো: বিরোধীদের দাবি” প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর এটি
খবরে বলা হয় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা ৩৫টি মামলার সত্যতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীরা দাবি করেছেন, এসব মামলা মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজানো হয়েছিল।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মামলাগুলোতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে মানহানি, দুর্নীতি এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে মামলার অনেকগুলোর ভিত্তি বা প্রমাণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বর্তমান সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, “মামলাগুলো পুনরায় পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যদি সত্যতা প্রমাণিত না হয়, তাহলে সেগুলো বাতিল করা হবে।”
বিরোধী দলের এক নেতা দাবি করেন, “এই মামলাগুলো আমাদের চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার তাদের ক্ষমতা অপব্যবহার করেছিল।”
আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা মামলা দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা কমিয়ে দেয়। একজন আইনজীবী বলেন, “নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়া এমন মামলাগুলো বিচার প্রক্রিয়ার ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।”
বর্তমান সরকার মামলাগুলোর বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিলেও, বিরোধী দল এই উদ্যোগকে সন্দেহের চোখে দেখছে।
“ব্যাংকের মুনাফার প্রধান উৎস এখন সরকারি কোষাগার: বেসরকারি ঋণ কমছে” বণিক বার্তার প্রথম পাতার খবর এটি
খবরে বলা হয় , বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে মুনাফার প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে সরকারি কোষাগার। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রদান কমে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো সরকারি বন্ড এবং ট্রেজারি বিলে বিনিয়োগ করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, “ব্যাংকগুলো ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগের জন্য সরকারি বন্ডের ওপর নির্ভর করছে। এতে স্বল্পমেয়াদে মুনাফা বাড়লেও দীর্ঘমেয়াদে এটি অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।“
বেসরকারি খাতে ঋণের অভাব নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বড় বাধা সৃষ্টি করছে। এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমাদের প্রকল্পে ঋণ পেতে অনেক জটিলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ব্যাংকগুলো সরকারি বিনিয়োগেই বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে।“
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনীতির গতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারি এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে ভারসাম্য আনা প্রয়োজন।
“আ. লীগের সুবিধাপ্রাপ্তরাই এগিয়ে: সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন” আজকের পত্রিকার শিরোনাম এটি
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সুবিধাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন ১০টি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন দল সুবিধাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে আসছিল। একজন বিশেষজ্ঞ বলেন”এ ধরনের প্রকল্পে রাজনৈতিক প্রভাব থাকলে প্রকল্পের গুণগত মান কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।”
বিরোধী দলের একজন নেতা বলেন, “নতুন সরকার যদি প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিশ্চিত না করে, তাহলে দেশীয় উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।”
কালের কণ্ঠ
নিত্যপণ্যে ভয় ধরাচ্ছে ডলার: সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ
ডলারের মূল্যবৃদ্ধি দেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমদানিনির্ভর পণ্যের ওপর এর প্রভাব ভয়াবহ।
এক ব্যবসায়ী বলেন, “ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে আমদানির খরচ বেড়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়ছে।” অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, “সরকারের উচিত আমদানি শুল্ক কমানো এবং রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখা।”
তীব্র গ্যাস সংকট: রাতের রান্নায় বাধ্য বাসিন্দারা
মানবজমিন
রাজধানী ঢাকায় তীব্র গ্যাস সংকট জনজীবনে অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে। দিনের বেলা গ্যাসের অভাবের কারণে বাসিন্দারা রাতের বেলায় রান্না করতে বাধ্য হচ্ছেন।
মিরপুরের এক বাসিন্দা বলেন, “আমাদের রান্নার সময়মত গ্যাস না থাকায় খুব কষ্ট হচ্ছে।”সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো জানিয়েছে, “সরবরাহ লাইনে কাজ চলার কারণে সাময়িক সমস্যা তৈরি হয়েছে।”
দেশ রূপান্তরের শিরোনাম এটি আদালত ঢেকে যায় নথিতে: বিচার প্রক্রিয়ায় সংকট
ঢাকার আদালতগুলোতে বিচারাধীন মামলার নথির স্তূপ জমে রয়েছে। এর ফলে বিচার প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে।
এক আইনজীবী বলেন, “ডিজিটাল পদ্ধতিতে নথি সংরক্ষণ না করলে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।”আদালত প্রশাসন ভবিষ্যতে ডিজিটালাইজেশনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।