ঢাকার নয়া পল্টন থেকে আগরতলার কাছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের আখাউড়া পর্যন্ত লং মার্চ BNP-র তিন সংগঠন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের
সালমলি বসুর লেখা এবিপি আনন্দ খবরে বলা হয়
প্রসেনজিৎ সাহার লেখা প্রতিবেদনের খবরে বলা হয় , বাংলাদেশে (Bangladesh News) ভারত-বিদ্বেষ অব্যাহত। আগরতলা অভিযানে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ৩টি সংগঠনের। বাড়তি সতর্কতা আখাউড়া সীমান্তে। নজরদারিতে রাজ্য পুলিশ, BSF ও CRPF.
আগরতলায় বাংলাদেশের কনস্য়ুলেটে হামলার অভিযোগে বাড়তি সতর্কতা জারি: দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সম্প্রীতির দাবি করলেও বাংলাদেশের যুদ্ধজিগির অব্যাহত। আজ আগরতলা অভিমুখে লং মার্চের ডাক দিয়েছে খালেদা জিয়ার দলের ৩টি সংগঠন। ঢাকার নয়া পল্টন থেকে আগরতলার কাছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের আখাউড়া পর্যন্ত লং মার্চ BNP-র তিন সংগঠন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের। এই অভিযান ঘিরে সতর্ক ত্রিপুরা পুলিশ। আগরতলা চেকপোস্ট সংলগ্ন এলাকায় মোতায়েন রয়েছে রাজ্য পুলিশ, BSF ও CRPF. এর আগে আগরতলায় বাংলাদেশের কনস্য়ুলেটে হামলার অভিযোগে, সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়েছে ইউনূস সরকার। এরপর কলকাতা ও ত্রিপুরায় বাংলাদেশ দূতাবাসে বিক্ষোভের প্রতিবাদে, রবিবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিযানের ডাক দেয় BNP-র তিন সংগঠন। এবার আগরতলা অভিমুখে লং মার্চের ডাক দিয়েছে তারা।
BNP-র আগরতলা অভিযানের আগে ফের দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের কথায় ফের যুদ্ধজিগির। আজকে যাঁরা অভিযান করছেন, তাঁরা যুদ্ধের সেন্ট্রাল কমান্ডার, BNP-র আগরতলা অভিমুখে লং মার্চের আগে ফের ভারত-বিরোধিতার সুর রুহুল কবীর রিজভি-র কথায়। বিএনপি-র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভি বলেন, “আমরা রক্ত দিয়ে যে স্বাধীনতা কিনেছি, ওই স্বাধীনতা আবার বিক্রি করে দেব? আমরা যে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি, এটা দিল্লির কাছে আমরা আত্মসমর্পণ করব? এই বার্তা আমাদের মাঝে নেই। আজকে যাঁরা এখানে অঙ্গীকারবদ্ধ বস্ত্র পরে রেখেছেন, তাঁদেরকে আমার মনে হয়েছে, বর্তমান যুদ্ধের সেন্ট্রাল কমান্ডার।”
খবরে আর বলা হয় ইউনূস সরকারের প্রেস সচিবের দেওয়া সাম্প্রতিক তথ্যে বড় চমক।সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে হিংসা হয়েছে, মানল বাংলাদেশ সরকার। এই সব ঘটনায় ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ৮৮টি মামলা দায়ের হয়েছে। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর অবশেষে হামলার কথা স্বীকার করলেন ইউনূস সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। যদিও এই সমস্ত হিংসার মামলা গত অক্টোবর পর্যন্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। নভেম্বর জুড়ে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় সন্ত্রাসের এখনও কোনও হিসাব নেই ইউনূস সরকারের কাছে। অথচ সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে নতুন নতুন মামলায় জড়াতে অতি তৎপরতা। হিংসাকাণ্ডে গ্রেফতারের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ইউনূস সরকারের প্রেস সচিব। সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ঢাকার তুরাগ থানা,নরসিং এলাকায় কিছু হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন শফিকুল আলম।