“প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরিকল্পনা করেছেন, কিইভকে পরিত্যাগ না করার জন্য ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানাবেন।”

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন
ফাইল ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় ইউক্রেনে যুদ্ধ সম্প্রসারণ না করতে পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। গতকাল রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোমাক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে জয় অর্জনের পর গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। এ সময় ট্রাম্প ফ্লোরিডায় তাঁর মার–এ–লাগো রিসোর্টে ছিলেন।

সিবিএন নিউজের ‘ফেইস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে সালিভান বলেন, “ইউক্রেইনকে ছেড়ে আসা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে না, এই বিষয়টি কংগ্রেস ও আগামী প্রশাসনকে বোঝানোর জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনের হাতে ৭০ দিনের মতো সময় আছে। ইউক্রেইনকে পরিত্যাগ করার অর্থ ইউরোপের আরও অস্থিরতা।”
সালিভান এসব কথা যেদিন বলেছেন সেই রোববার ইউক্রেইন ৩৪টি ড্রোন যোগে মস্কোয় হামলা চালিয়েছে। এটি ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার রাজধানীতে কিইভের চালানো বৃহত্তম ড্রোন হামলা।
ফেব্রুয়ারি, ২০২২ এ রাশিয়া ইউক্রেইনে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ওয়াশিংটন দেশটিকে শত শত কোটি ডলারের সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়েছে। ট্রাম্প বারবার এসব তহবিল দেওয়ার সমালোচনা করেছেন এবং অন্য রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদেরও বিরোধিতা করেছেন।
গত বছর ট্রাম্প দাবি করেছেন, ওই সময় তিনি হোয়াইট হাউজে থাকলে পুতিন কখনোই ইউক্রেইনে আক্রমণ চালাতেন না। তিনি রয়টার্সকে বলেছেন, একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছতে ইউক্রেইনকে কিছু অঞ্চল ছেড়ে দিতে হতে পারে। কিন্তু ইউক্রেইনে এ ধরনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বাইডেন কখনোই এ ধরনের কোনো পরামর্শ দেননি।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জবাবদিহি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাইডেনের সময় ইউক্রেইনকে ১৭ হাজার ৪০০ কোটি ডলারেরও বেশি সহায়তা দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। সহায়তার এই পরিমাণ ট্রাম্পের আমলে অনেকটা হ্রাস পাবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত।