সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কলোরাডো রাজ্যের ক্যাপিটলে স্থাপিত তার একটি প্রতিকৃতি সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ট্রাম্প এই প্রতিকৃতিকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত’ বলে অভিহিত করেছেন এবং অবিলম্বে এটি অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। এই বিষয়ে The Hill, FOX 31 Denver, ABC News, TIME, The Independent, Newsweek, Daily Mail, The New York Post, HuffPost, NewsX, The Washington Examiner, The Daily Wire, NationalWorld, এবং Hindustan Times-সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিকৃতির বিতর্কের সূচনা

প্রথমে 9News.com KUSA-এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ট্রাম্প কলোরাডো ক্যাপিটলে ঝুলানো তার প্রতিকৃতিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে দাবি করেছেন এবং এর জন্য কলোরাডোর গভর্নর জ্যারেড পলিসকে দায়ী করেছেন। FOX 31 Denver-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প গভর্নর পলিসকে ‘র‍্যাডিক্যাল লেফট’ বলে অভিহিত করেছেন এবং এই প্রতিকৃতির পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।

ট্রাম্পের অভিযোগ ও প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্পের মতে, চিত্রশিল্পী তার প্রতিকৃতিটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করেছেন, যা তার ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। Yahoo News-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প এই প্রতিকৃতির তুলনা বারাক ওবামার প্রতিকৃতির সঙ্গে করেছেন এবং বলেছেন, “ওবামার প্রতিকৃতি অত্যন্ত ভালোভাবে আঁকা হয়েছে, কিন্তু আমার প্রতিকৃতি সম্পূর্ণ বিকৃত।”

এ বিষয়ে The Independent উল্লেখ করেছে যে, প্রতিকৃতিটি চিত্রশিল্পী স্যারো ক্যাথরিন অ্যান্ড্রুস আঁকেন, যিনি এর আগে বারাক ওবামার প্রতিকৃতিও এঁকেছিলেন।

গভর্নর পলিসের প্রতিক্রিয়া

ABC News-এর প্রতিবেদনে গভর্নর পলিসের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে তিনি বলেছেন, “প্রতিকৃতিটি দীর্ঘদিন ধরেই এখানে রয়েছে এবং এটি সরানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।” Newsweek-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গভর্নর পলিস ট্রাম্পের অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ বলেছেন এবং মনে করেন এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া

HuffPost এবং The Daily Beast-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্পের প্রতিকৃতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকে এই বিতর্ককে ট্রাম্পের অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা বলে আখ্যা দিয়েছেন। indy100-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ট্রাম্পের সমালোচনার পর অনেকেই তার এই প্রতিকৃতিটি আরও বেশি শেয়ার করতে শুরু করেছেন।

আইনগত দিক ও ভবিষ্যৎ

The Washington Examiner এবং The Daily Wire-এর প্রতিবেদন অনুসারে, কলোরাডো রাজ্যের আইন অনুসারে, একবার কোনো প্রেসিডেন্টের প্রতিকৃতি সরকারিভাবে স্থাপন করা হলে সেটি সহজে সরানো যায় না। NationalWorld জানায়, ট্রাম্প যদি আইনি প্রক্রিয়ায় প্রতিকৃতিটি অপসারণ করতে চান, তবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি আবেদন করতে হবে।

ট্রাম্পের প্রতিকৃতি বিতর্ক মূলত রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত ভাবমূর্তির সংঘাতের একটি উদাহরণ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, এই বিতর্ক দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, কারণ প্রতিকৃতির স্থায়ীত্ব নিয়ে আইনি ও রাজনৈতিক জটিলতা রয়েছে। গভর্নর পলিস এখনো প্রতিকৃতি অপসারণের কোনো উদ্যোগ নেননি, ফলে এটি কীভাবে সমাধান হবে, তা সময়ই বলে দেবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version