ঢাকা: দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সাম্প্রতিক কিছু পরিবর্তন এবং নতুন দল ও সংগঠনের উত্থান নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আলোচনা তুঙ্গে। মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ছাত্র রাজনীতি, নতুন রাজনৈতিক জোট, এবং নাগরিক উদ্যোগ সম্পর্কিত নানা দিক।
‘মাই ম্যান’ রাজনীতি পরিহারের আহ্বান
বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারজিস আলম নামের এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সাম্প্রতিক এক বক্তব্যে ‘মাই ম্যান’ ভিত্তিক রাজনীতি পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে, রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বজনপ্রীতি এবং দলীয় আনুগত্যের নামে অযোগ্যদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চেয়ে ছাত্ররাই সংগঠন তৈরি করছে?
বিবিসি নিউজ বাংলার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি যাদের মধ্যে বেশি ছিল, তারাই এখন বিভিন্ন নতুন ছাত্র সংগঠন তৈরি করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি মূলত প্রচলিত ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতি আস্থাহীনতা থেকে সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ প্রবণতা ভবিষ্যতে দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
নতুন দলের আহ্বায়ক চূড়ান্ত, শীর্ষ পদের সংখ্যা বাড়ছে
কালের কণ্ঠের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং শীর্ষ নেতৃত্বের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই দলটি কোন আদর্শ বা লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে, সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
আলোচনায় নাগরিক শক্তি
বাংলাদেশ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে নাগরিক শক্তি নামের একটি নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি মূলত রাজনৈতিক বিকল্প তৈরির একটি প্রচেষ্টা। নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দলটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে চায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক এই প্রবণতাগুলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ ঘটাতে পারে। তবে এসব উদ্যোগ কতটা টেকসই হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।