সমকাল পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র-জনতার ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও ছিলেন এই সিদ্ধান্তে সহমত। জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্দোলন ঠেকাতে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপকভাবে সক্রিয় হয়। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বিচার বহির্ভূত হত্যা, নির্বিচারে গুলি চালানো, গ্রেপ্তার, আটক, নির্যাতন এবং চিকিৎসা পেতে বাধা দেওয়ার মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য উঠে এসেছে। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে অভিহিত করেছে।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাম্প্রতিক তদন্তে উঠে এসেছে যে, বাংলাদেশীরা দুবাইয়ে থাকা তাদের অফশোর সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছেন। এই সম্পদ বিক্রির জন্য সেখানকার বিভিন্ন প্রপার্টি কেনাবেচার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলকে (সিআইসি) এ বিষয়ে অবহিত করেছে বিএফআইইউ এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সংস্থাটির কর্মকর্তাদের মতে, বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিদেশে থাকা অপ্রদর্শিত সম্পদ ঝুঁকিতে পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় সম্পদ বিক্রির প্রবণতা বেড়েছে। অনেকে আবার আয়কর নথিতে এসব সম্পদ অন্তর্ভুক্ত করতে এনবিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।

মানবজমিন পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম অনুযায়ী, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশ দুই ধাপ অবনতি হয়েছে। ২০২৪ সালে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫১ নম্বরে নেমে এসেছে, যেখানে গত বছর ছিল ১৪৯ নম্বরে। তবে অধঃক্রম অনুযায়ী হিসাব করলে বাংলাদেশ এবার চতুর্দশ স্থানে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে বাজে অবস্থানে কেবল মিয়ানমার ও আফগানিস্তান রয়েছে। টিআই এর মতে, দেশে দুর্নীতির মাত্রা বাড়ছে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই এই অবনতি।

কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো ও নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি বাড়ছে। আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ধরেই পরিকল্পনা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, “আমরা ডিসেম্বরকে ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছি, আমাদের অন্য কোনো পরিকল্পনা নেই।” অন্যদিকে, বিএনপি সরকারকে চাপে রাখতে দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি পেলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে বলে জানিয়েছে।

আজকের পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন মিলিয়ে ইসির পরিকল্পিত ব্যয় ৯ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “এই মুহূর্তে সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশন নিশ্চয়ই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করেই এই বাজেট পরিকল্পনা করেছে।”

প্রথম আলো পত্রিকার প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দল ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্দোলন দমন করতে সরকারি বাহিনী মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুলি চালানো, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন। জাতিসংঘের সুপারিশে র‌্যাব ও এনটিএমসিকে বিলুপ্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রথম পাতার সংবাদ অনুযায়ী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া তিন থেকে চারটি মামলার রায় আগামী অক্টোবরের মধ্যে হতে পারে। আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, “এখন পর্যন্ত তিন শ’টির বেশি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি মামলা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারাধীন রয়েছে।” তদন্ত কাজ দ্রুত শেষ করে অক্টোবরের মধ্যে রায় ঘোষণার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

Most of TK 53,000 cr misused by AL govtনিউ এইজ

নিউ এইজ পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার সরকার ৫৩ হাজার কোটি টাকার বিশেষ জ্বালানি তহবিলের বেশিরভাগ অর্থ অপব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের তথ্যমতে, এই তহবিলের ৯৭ শতাংশ অর্থ সরকার ব্যবহার করেছে, যার তিন-চতুর্থাংশ নীতি লঙ্ঘন করে ব্যয় হয়েছে।

EC targets Dec to get all its tasks doneদ্য ডেইলি স্টার

দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলছে, নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কারের ওপর নির্ভর করে নির্বাচন বছরের শেষ দিকে বা পরবর্তী বছরের শুরুতে হতে পারে।”

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version