ঢাকা: সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজও তারা কলেজের সামনের মহাখালী-গুলশান সড়ক বাঁশ দিয়ে অবরোধ করেন, ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় , বারছে ভোগান্তি ।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন, অনেককে বাস থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে এ সময় ক্ষোভও দেখা যায়।

একজন পথচারী বেসরকারি চাকরিজীবী, নাজমুল, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম কে বলেন, “এরা প্রতিদিন এক নাটক শুরু করেছে। তাদের কারণে প্রতিদিন ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে। জনদুর্ভোগের কথা এরা ভাবছে না।”

এদিকে যুগান্তর পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। পঞ্চম দিনের মতো অনশনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে সরকারের বক্তব্য জানতে চাইলে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ যুগান্তর কে বলেন, “শুধু তিতুমীর কলেজকে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার যৌক্তিকতা নেই। আমরা সাতটি কলেজকে একত্রিত করে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো করার পরিকল্পনা করছি। ইউজিসির নেতৃত্বে একটি কমিটি এ নিয়ে কাজ করছে।”

তিনি আরও বলেন, “এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক নয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো দাবি মানতে আসেনি, বরং কিছু সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে জনদুর্ভোগ তৈরি হওয়া অনুচিত।”

অন্যদিকে ডেইলি ইনকিলাব পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্দোলনের ফলে ব্যবসায়ী, স্বল্পআয়ের মানুষ এবং সাধারণ নগরবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা শিক্ষার্থীদের প্রতি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছেন। ডেইলি ইনকিলাব আরও উল্লেখ করে, যান চলাচল বন্ধের ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে এবং দেশের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

শিক্ষার্থীদের দাবি এবং সরকারের অবস্থান নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ মানুষ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে মতবিরোধের ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version