দ্য ডেইলি স্টার: শিক্ষার্থীদের বই সংকটে হতাশা

জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর দুই সপ্তাহ পরেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব বই বিতরণে ব্যর্থ হয়েছে।

এনসিটিবি এখন পর্যন্ত ৪০ কোটি ১৫ লাখ বইয়ের মধ্যে মাত্র ১৫ কোটি বই বিতরণ করেছে। এতে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের সমস্যার মুখে পড়েছে। কারিকুলাম পরিবর্তন, সরবরাহ ব্যবস্থার ব্যাঘাত এবং মুদ্রণ জটিলতার কারণে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

এনসিটিবি জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির মধ্যে বই বিতরণ শেষ করার চেষ্টা চলছে। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় বই না পাওয়ার হতাশা দেখা দিয়েছে।

আজকের পত্রিকা ‘সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি’

বিএনপি সাম্প্রতিক সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের চারটি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের কিছু বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া সংস্কার প্রতিবেদন নিয়ে বিশেষত সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তনের সুপারিশে আপত্তি জানিয়েছে দলটি।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে দেশের নাম পরিবর্তন করে “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” থেকে “জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ” করার এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, ও সমাজতন্ত্র বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বিএনপির মতে, এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়।

দলটি নির্বাচনকালীন সংস্কারের বিরোধিতা না করলেও সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তনের ব্যাপারে কড়া অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া, জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বহুত্ববাদ সংযোজনের প্রস্তাবও বিএনপির জন্য অগ্রহণযোগ্য।

বিএনপি বলছে, নির্বাচনের জন্য সংস্কারের কারণে বিলম্ব হওয়া উচিত নয়। তারা জুলাই-অগাস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে।

প্রথম আলো: জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিতর্কে

সাম্প্রতিক জরিপে ৬৫ শতাংশ মানুষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান বলে উঠে এসেছে। তবে বিএনপিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এই প্রস্তাবের বিপক্ষে।

বিএনপির মতে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন এখন জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার কৌশল। দলটি বলছে, জনগণ বর্তমানে জাতীয় নির্বাচনকেই দেশের প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে দেখে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক কথা বললেও বিএনপির মতে, জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্য কোনো নির্বাচন আয়োজন অপ্রাসঙ্গিক।

নয়া দিগন্ত: বিদ্যুৎ প্রকল্পে খরচ কমানোর সাফল্য

বাংলাদেশের একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পে প্রায় ৪৮ শতাংশ খরচ কমানো হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত এই প্রকল্পে খরচ পুনর্বিন্যাস এবং কিছু কাজ বাদ দেওয়া হয়েছে, যা এই সাফল্যের প্রধান কারণ।

প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার মাধ্যমে ব্যয় আরও কমানো সম্ভব হবে।

সমকাল: জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে পতনের আশঙ্কা

বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.১ শতাংশে নেমে আসতে পারে।

রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগ কমে যাওয়া, এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অর্থনীতির এই দুর্বল অবস্থা তৈরি হয়েছে। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনলে প্রবৃদ্ধি আবার বাড়তে পারে।

ইত্তেফাক: উদ্যোক্তাদের চাপে রাখছে অর্থনৈতিক সংকট

বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উদ্যোক্তাদের জন্য কঠিন সময় তৈরি করেছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদ, এবং কাঁচামালের ব্যয় বাড়ার কারণে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

বিশ্বব্যাংক বলছে, দেশের অর্থনীতি চাপে রয়েছে এবং বিনিয়োগ বাড়াতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

কালের কণ্ঠ: রাজনৈতিক ধারা বদলানোর প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক সংস্কার কমিশন প্রস্তাব করেছে, কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এবং দলীয় প্রধান সংসদ নেতা ও সরকারপ্রধান হতে পারবেন না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধুমাত্র আইন করে রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলানো কঠিন। বিএনপি ও আওয়ামী লীগসহ বেশিরভাগ দল পরিবারতন্ত্রে আবদ্ধ। দলগুলোর অভ্যন্তরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া এই প্রস্তাবগুলো কার্যকর হবে না।

বণিক বার্তা: খাদ্যপণ্যের বাজারে বিশাল সুযোগ

বাংলাদেশের খাদ্যপণ্যের বাজার বর্তমানে প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলারের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সরবরাহ বাড়ানো এবং প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন।

সরকারি নীতি ও টিসিবির কার্যক্রম সত্ত্বেও বাজারের অস্থিতিশীলতা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিকল্পিত চাহিদা-জোগানের মাধ্যমে পরিস্থিতি উন্নয়ন সম্ভব।

দেশের সবজির বাজারে স্বস্তি এলেও পেঁয়াজ, মুরগি, চাল, ও তেলের দাম বাড়তি রয়ে গেছে। শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও অন্যান্য খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর মাধ্যমে দামের অস্থিতিশীলতা দূর করতে হবে।

পত্রিকা: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ পত্র-পত্রিকার শিরোনাম 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version