সংবিধান ও বংশপরম্পরা: সংবিধান কমিটির ভূমিকা


বাংলাদেশের সংবিধান নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনায় বংশগত ও রক্তের দাবি দিয়ে বিশেষ সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি আবারো সামনে এসেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে এই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।

তিনি বলেন, “সংবিধান কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের অতীতে যে অসম সুবিধা দেওয়া হতো, বর্তমানে সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের সন্তানদের ক্ষেত্রে একই ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তারা মুজিববাদী সংবিধানের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন, যা পক্ষপাতদুষ্টতার শামিল।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়নের জন্য যে কমিটি দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল, তাদের ম্যান্ডেট ছিল পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়ন করার জন্য। এটি ভুলে গেলে চলবে না। তখনকার ভোট ছিল একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের জন্য।”

এ ধরনের মন্তব্য সংবিধান এবং তার প্রণয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিতর্ককে নতুন মাত্রা দিয়েছে। সংবিধানের সঙ্গে বংশপরম্পরার সম্পর্ক ও এর সুবিধাভোগী একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির প্রভাবের প্রসঙ্গটি সাধারণ মানুষের জন্য ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উল্লেখযোগ্য যে, সংবিধান নিয়ে চলমান বিতর্ক শুধুমাত্র রাজনীতি কিংবা প্রশাসনিক বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি এখন তরুণ সমাজের মধ্যেও আলোড়ন তুলছে। এর ফলে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি এ বিষয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সামনে আসছেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version