ঢাকা, ২ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস)


অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ১৯৭২ সালের ৪ মে বাংলাদেশে আগমন তারিখ থেকে তাঁকে জাতীয় কবি ঘোষণা করে একটি গেজেট প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। 

গেজেট প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বরে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন হয় এবং তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। 

এই ঘোষণার ফলে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা আরো সুসংহত হলো। ১৯৭২ সালে কলকাতা থেকে সপরিবারে ঢাকায় আসার পর থেকেই কবিকে জাতীয় কবি হিসেবে আখ্যায়িত করার দাবি উঠছিল। দীর্ঘদিন পর, এই ঘোষণা সরকারের পক্ষ থেকে সমর্থন লাভ করল এবং সবার কাছে গেজেট আকারে পাঠানো হলো। 

১৯৭২ সালের ২৪ মে বাংলাদেশে আসার পর, কবি নজরুল ইসলামের বসবাসের জন্য ধানমন্ডির ২৮ নম্বর (পুরাতন) সড়কের ৩৩০-বি বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে তিনি বাংলাদেশে নাগরিকত্ব লাভ করেন এবং একই বছর একুশে পদকে ভূষিত হন। ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধি প্রদান করে। 

কবি নজরুল ইসলাম ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন এবং তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। তাঁর মৃত্যুর পর দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হয়। 

১৯২৯ সালের ১০ ডিসেম্বর কলকাতার এলবার্ট হলে নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কাণ্ডারী’ এবং ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তার জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বাণীতে তাঁকে জাতীয় কবি হিসেবে সম্মান জানানো হয়েছিল, তবে আজকের এই প্রজ্ঞাপন তার মর্যাদাকে একদম প্রতিষ্ঠিত করেছে।

বাসস

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version