গৃহ যুদ্ধের আগুনে পোড়া মায়ানমারে আর্থিক পরিস্থিতি ভয়াবহ। দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোটাতে হিমশিম খাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এই অবস্থায় পেটের জ্বালায় যৌনকর্মীর জীবন বেছে নিচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িতরা।

খিদের জ্বালায় দেহব্যবসা! ভারতের প্রতিবেশী দেশের চিকিৎসক-নার্সদের অবস্থা জানলে চমকে যাবেন

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক-এর খবরে মায়ানমারের আর্থিক অবস্থার ছবি প্রকাশ করে বলা হয় , এক  দিকে গৃহযুদ্ধ, অন্য দিকে ভেঙে পড়া অর্থনীতি। জোড়া ফলার আক্রমণে দু’বেলা দু’মুঠো জোটাতে আমজনতার দফারফা। পেটের জ্বালায় অনেকেই বেছে নিচ্ছেন বেআইনি পথ। বাদ নেই মহিলা চিকিৎসক ও নার্সেরাও। সংসারের জন্য দেহব্যবসায় নেমেছেন তাঁদের একাংশ। পূর্ব দিকের প্রতিবেশী মায়ানমারের এ-হেন সামাজিক ও আর্থিক অবস্থা চিন্তায় ফেলেছে নয়াদিল্লিকেও।

গৃহ  যুদ্ধের আগুনে পোড়া মায়ানমারে আর্থিক পরিস্থিতি ভয়াবহ। দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোটাতে হিমশিম খাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এই অবস্থায় পেটের জ্বালায় যৌনকর্মীর জীবন বেছে নিচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িতরা।

খবরে আরো বলা হয় , ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মায়ানমারের ক্ষমতা দখল করে জুন্টা। ২০২০ সালে শুরু হওয়া কোভিড অতিমারির ধাক্কা তখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ব। ওই সময়ে এমনিতেই দেশের আর্থিক অবস্থা ছিল নড়বড়ে। তার মধ্যে জুন্টা কুর্সিতে বসায় সাবেক বর্মায় বেধে যায় গৃহযুদ্ধ।

ঘরোয়া কোন্দল আর কোভিডের গুঁতোয় গত তিন বছরে হু-হু করে নেমেছে অর্থনীতির সূচক। মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গিয়েছে ২৬ শতাংশে। ফলে বাজারে আগুন দামে বিক্রি হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। আগামী বছর (পড়ুন ২০২৫) মায়ানমারের আর্থিক বৃদ্ধির লেখচিত্র ঋণাত্মক হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক

মায়ানমারের খারাপ আর্থিক অবস্থার নেপথ্যে আরও কয়েকটি কারণের কথা বলেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। তার মধ্যে রয়েছে বর্ষা-পরবর্তী ঋতুতে অতিবৃষ্টির জেরে বন্যা। এতে কৃষির মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া চিন এবং তাইল্যান্ড সীমান্তে বিদ্রোহীরা অতিরিক্ত সক্রিয় থাকায় আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য এক রকম বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

খবর আনন্দ বাজার পত্রিকা অনলাইন ডেস্ক

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version