হারুন উর রশীদ স্বপনের লেখা  ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে আরো  বলা হয় ।

সচিব ইসরাত চৌধুরী বলেন, ‘‘এই মূহুর্তে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা তৈরির কাজ বন্ধ আছে৷ আমরা আগে চার দফায় মোট ৫৬০ জনের একটি তালিকা করেছি, যা গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে৷ তবে এখন আর কাজ হচ্ছেনা৷ স্থগিত বা বন্ধ আছে বলতে পারেন৷”

কোনো সরকারি আদেশে বন্ধ আছে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘ওরকম কোনো আদেশ হয়নি৷ তবে আমরা এখন অন্য আরো অনেক কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি৷ আর যারা এই তালিকা তৈরির কমিটিতে আছেন তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ হচ্ছেনা৷ হয়তো পরে আবার শুরু হবে৷”

এবারের শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসেই (১৪ ডিসেম্বর) শহিদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিলো৷ কিন্তু ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয়া অন্তর্বর্তী সরকার সেটা করেনি৷

২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়নে গবেষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে ১১ সদস্যের যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করে আওয়ামী লীগ সরকার৷ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে কমিটির সভাপতি করা হয়৷

প্রতিবেদনে আরো বলা হয় ,এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রথম দফায় ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ১৯১ জন শহিদ বুদ্ধিজীবীর নাম গেজেট আকারে প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়৷ ২০২২ সালের ২৯মে দ্বিতীয় তালিকায় আসে ১৪৩ জন৷ এরপর তৃতীয় দফায় চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ১০৮ জন এবং চতুর্থ দফায় ২৪ মার্চ ১১৮ জন শহিদ বুদ্ধিজীবীর নামের গেজেট প্রকাশ করা হয়৷ সবশেষ তালিকা অনুযায়ী গেজেটভুক্ত শহীদ বুদ্ধিজীবী মোট ৫৬০ জন৷

চলতি বছরেরর মার্চে চতুর্থ তালিকা প্রকাশের সময় সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন চলতি বছরের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চূড়ান্ত তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে৷ সেই সংবাদ সম্মেলনে এখনকার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরীও ছিলেন৷

মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে এবং ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার নীল নকশার অংশ হিসেবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামসরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে৷ তাদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, শিল্পী, শিক্ষকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা৷ মুক্তিযুদ্ধে কতজন বুদ্ধিজীবী শহিদ হয়েছেন তার সঠিক সংখ্যা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি৷ তবে নানা পর্যায়ের গবেষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৯৭২ সালে জাতীয়ভাবে প্রকাশিত শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের সংকলন, দেশি বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ  থেকে একটা ধারণা পাওয়া যায়৷ সংখ্যাটি এক হাজারের বেশি হবে৷

খবরের সুত্র   dw.com

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version