রাজশাহী পঞ্চগড় যশোর চুয়াডাঙ্গা বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ এই শৈত্যপ্রবাহ আরও এলাকায় বিস্তার লাভ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২, রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৭, যশোরে ১০, ঈশ্বরদীতে ১০ দশমিক ২, বদলগাছিতে ১০ দশমিক ৩, গোপালগঞ্জে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। সাধারণত ৮ দশমিক ১ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা বিরাজ করলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। চলতি শীতের মৌসুমে দেশে প্রথম শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে শুক্রবার।

শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও রোববার থেকে বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রা

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, আগামী ২/১ দিনের মধ্যে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ফলে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। তবে ১৮ ডিসেম্বরের পর থেকে তাপমাত্রা আবারও কমতে শুরু করবে। শৈত্যপ্রবাহের আওতাও তখন বাড়তে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, রোববার মধ্যরাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত কুয়াশা পড়তে পারে। এসময়ে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

কেমন হবে এ বছরের শীতকাল?

শৈত্যপ্রবাহের সংখ্যা যেমনই হোক না কেন; এ বছর শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে জানান, এবছর শীতের অনুভূতি গতবারের চেয়ে বেশি হবে। কারণ হিসেবে তিনি কুয়াশা এবং অতিবৃষ্টির কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, “বাতাসে অনেক ধুলাবালি থাকায় কুয়াশাটা বেশি হবে এবং শীতও বেশি লাগবে। এ বছর অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি ছিল। বেশি শীতের এটাও কারণ।

এ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বিবিসি বাংলাকে বলেন, “প্রতিবছর শীত একরকমভাবে আসে না। শীতের প্রথমদিকে যখন শৈত্যপ্রবাহ থাকে না, তখন আমাদের এই অঞ্চলের নিম্ন স্তরে যে জলীয়বাষ্প থাকে, তা ভোরবেলা যখন তাপমাত্রা কম থাকে, তখন ঘনীভূত হয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিস্থিতি তৈরি করে। ওই জলীয়বাষ্প মাঝরাতের পর থেকে ঘনীভূত হতে থাকে এবং ভোর ৩টার পর তা সমগ্র আকাশ ঢেকে ফেলে। দিন গড়িয়ে মধ্যাহ্ন পর্যন্ত থাকে সেই কুয়াশা এবং বিকেল ৩টা নাগাদ বিলীন হয়।”

মূলত, বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরের জলীয়বাষ্পর উপস্থিতির কারণেই কুয়াশার উৎপত্তি। এই ধরনের কুয়াশা বায়ুতাড়িত হয়ে স্থানান্তরিত হয় না বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, তাপমাত্রা যদি আট থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় তবে সেটাকে ধরা হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। চার থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে সেটাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। আর, তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে সেটি হয় অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।

তবে শৈত্যপ্রবাহ হিসেববে ধরতে হলে এই তাপমাত্রার স্থায়িত্বকাল অন্তত তিনদিন হতে হবে। অর্থাৎ, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেও তাকে কমপক্ষে তিনদিন থাকতে হবে

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version