বিএনপির তিন সংগঠনের লংমার্চ আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছেছে
ঢাকা যাত্রা শুরু করা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লংমার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছেছে। আজ বুধবার বিকেল চারটার দিকে লংমার্চের বহর স্থলবন্দর মাঠে আসে। সেখানে সমাবেশের মধ্য দিয়ে লংমার্চ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননাসহ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি করছে বিএনপির তিন সংগঠন। কর্মসূচি ঘিরে স্থলবন্দর এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আখাউড়া স্থলবন্দরে গ্রাম পুলিশ, থানা–পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঐক্যবদ্ধ থেকে ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দেব, লংমার্চে যুবদল সভাপতি
দেশ ও জনগণের স্বার্থে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের স্বার্থ রক্ষা করা হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আপসহীন থেকে কাজ করে যাবে। ঐক্যবদ্ধ থেকে আমরা ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দেব।’
আজ বুধবার দুপুরে ভারতের আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের চলমান লংমার্চ কর্মসূচিতে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের পথসভায় এ কথাগুলো বলেন যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম।
লংমার্চ নিয়ে আগরতলা স্থলবন্দরের দিকে বিএনপির তিন সংগঠনের যাত্রা
ভারতের আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই লংমার্চ করছে তারা।
আজ বুধবার সকাল ৮টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হওয়ার কথা ছিল, শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল ৭টার পর থেকে বিএনপির তিন সংগঠনের নেতা-কর্মী খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন।
সংগঠন তিনটির নেতা-কর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এবং হাতে ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
আমরা কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না: যুবদল সভাপতি
যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ অত্যন্ত স্বাধীনচেতা জাতি। আমরা বাংলাদেশের যেকোনো ভূখণ্ড ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য জনগণ যেকোনো ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়ে আমরা আপসহীন। আমরা কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না।’
ঢাকা থেকে ভারতের আগরতলা অভিমুখী লংমার্চ উপলক্ষে বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবদল সভাপতি এ কথা বলেন। বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এ লংমার্চ কর্মসূচির আয়োজন করে। বিকেল চারটার দিকে লংমার্চের বহর আখাউড়া বন্দরের মাঠে পৌঁছায়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি চাইলেন সিপিবি–বাসদ নেতারা
সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা সৃষ্টির পাঁয়তারায় সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিসহ (নেছারাবাদ) দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। আজ বুধবার সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে এসব দাবি জানান দুই দলের নেতারা।
সিপিবি ও বাসদের নেতারা এ সময় দেশের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বেগ তুলে ধরেন। এসব বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটতে পারে, সে জন্য কঠোর অবস্থান নেওয়ার অনুরোধ করেন তাঁরা। সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ও বাসদের সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন আজ সকালে।