প্রতিবেদন: অনলাইন ডেস্ক
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম সম্প্রতি তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এই পদত্যাগের ঘটনা সরকারি মহলে এবং জনমনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে, তিনি কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সে বিষয়ে তিনি মুখ খুলতে নারাজ। ‘বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আমিনুল ইসলামের বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে, যেখানে তিনি বলেছেন, “পদত্যাগের কারণ বলতে চাচ্ছি না।” তার এই নীরবতা ঘটনাটিকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে।
আমিনুল ইসলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার পদত্যাগের খবর প্রকাশের পর সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ‘ঢাকা পোস্ট’ জানিয়েছে, তিনি বিষণ্ন মন নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ত্যাগ করেছেন। এই তথ্য তার মানসিক অবস্থা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেয়, তবে এর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে, তা স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে, ‘দৈনিক শিক্ষা’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধ্যাপক আমিনুলের পদত্যাগের ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য হয়ে পড়েছে।
তার এই হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। তিনি কি কোনো চাপের মুখে পদ ছাড়লেন? নাকি ব্যক্তিগত কোনো কারণে এমন পদক্ষেপ নিলেন? এসব প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। আমিনুল ইসলামের পদত্যাগের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বা প্রেসসচিবের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এই নীরবতা ঘটনার গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচিত। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তার ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। তিনি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অংশ নিয়েছিলেন। তার এই পদে থাকাকালীন শিক্ষা খাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ তার পদত্যাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।
জনমনে এখন কৌতূহল, সরকার এই শূন্য পদে কাকে নিয়োগ দেবে এবং আমিনুল ইসলামের পদত্যাগের পেছনের আসল কারণ কী। তবে তিনি নিজে যেহেতু কোনো ব্যাখ্যা দিতে চাননি, তাই এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, এই ঘটনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
এদিকে, সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই পদত্যাগ নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে তাদের মতামত প্রকাশ করছেন। কেউ কেউ মনে করছেন, এটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, আবার কেউ বলছেন, এর পেছনে রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক কারণ থাকতে পারে। তবে এসবই অনুমান, সত্যতা জানতে আরও তথ্যের অপেক্ষায় থাকতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং আমিনুল ইসলামের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সবার দৃষ্টি এখন সরকারের দিকে। এই পদত্যাগের রহস্য কবে উন্মোচিত হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
উৎস: ‘বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম’, ‘ঢাকা পোস্ট’ এবং ‘দৈনিক শিক্ষা