বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম স্থিতিশীল থাকলেও দেশে সংকট দেখা দিয়েছে।
রমজানের এক মাস আগেই ব্যবসায়ীরা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্য বলছে, গত এক সপ্তাহে বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে।
খুচরা বাজারে এক ও দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, তারা চাহিদামতো বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ পাচ্ছেন না। ফলে ভোক্তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

‘নাহিদ-আসিফরা পদত্যাগ করলেও সরকারে থাকতে পারেন’ – মানবজমিন
এ খবরে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের পর থেকে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের বিষয়টি সামনে এসেছে। ছাত্র আন্দোলনের নেতারা নতুন দল গঠন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে শিক্ষার্থীরা সংগঠিত হলেও রাজনৈতিক দল হবে ভিন্ন। সেখানে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা নেতৃত্বে থাকবেন।
এছাড়া সরকারে থাকা ছাত্রদের প্রতিনিধিরাও থাকতে পারেন। দলের নেতৃত্বে আসার আগেই সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন ছাত্র প্রতিনিধিরা।
তাদের একজন ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসতে পারেন। বর্তমানে সরকারে রয়েছেন ছাত্রদের তিন উপদেষ্টা—
• তথ্য ও সম্প্রচার এবং আইসিটি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
• স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
• উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
এই তিনজন ধাপে ধাপে সরকার থেকে পদত্যাগ করে দলে যোগ দিলে, সরকারে ছাত্রদের অংশীদারত্ব কীভাবে থাকবে, সে বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে। ছাত্ররাও বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন। এক্ষেত্রে তিন উপদেষ্টা পদত্যাগ করলেও সরকারে ছাত্রদের প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে চান তারা।

‘এজেন্সির লোভে টিকিট দুর্মূল্য’ – কালের কণ্ঠ
এ খবরে বিমানের ভাড়া নিয়ে যে নৈরাজ্য হয় তা তুলে ধরা হয়েছে।
অতি মুনাফালোভী কিছু ট্রাভেল এজেন্টের লোভের মাশুল গুনছে প্রবাসীসহ সাধারণ বিমান যাত্রীরা।
এই চক্রের সিন্ডিকেটের কবজায় বিমানের টিকিট বাণিজ্য। তারা এয়ারলাইনসগুলোর টিকিট আগাম ব্লক করে নিজেদের জিম্মায় রেখে পরে ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছে। ফলে বিদেশগামী বিমানের যাত্রীদের স্বাভাবিক ভাড়ার তিন গুণ পর্যন্ত বেশি টাকা দিয়ে টিকিট কিনতে হচ্ছে।
যাত্রী, কর্মী ও ট্রাভেল এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে সংবাদটিতে।
জানা যায়, ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার টিকিট তাদের সিন্ডিকেটের কারণে কিনতে হচ্ছে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
মধ্যপ্রাচ্যের এয়ারলাইনস ব্যবসায়ী ও দেশীয় কিছু ট্রাভেল এজেন্সির মধ্যে প্রভাবশালী এক সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। তারা বিভিন্ন এজেন্সির চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও যাত্রীদের কোনো প্রকার পাসপোর্ট, ভিসা ও ভ্রমণ নথিপত্র ছাড়াই শুধু ই-মেইলের মাধ্যমে কিছু এয়ারলাইনসের বিভিন্ন রুটের গ্রুপ সিট বুকিং করে থাকে।

‘এলএনজিতেই ভর্তুকি ১৬ হাজার কোটি টাকা’ – নয়াদিগন্ত
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে শুধু বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদনের মাধ্যমে লাখ লাখ কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
কিন্তু চাহিদার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বিলাসী বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। তবে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর জন্য যে জ্বালানির প্রয়োজন, তা নিশ্চিত করা হয়নি।
এ কারণে উচ্চ দরে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে হচ্ছে। গ্যাসের মজুদও ফুরিয়ে আসছে।
বর্তমানে চাহিদার ২৫ শতাংশ এলএনজি আমদানি করতেই বিশাল ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। বছরে ভর্তুকি দিতে হবে ১৬ হাজার কোটি টাকার ওপরে।
চাহিদার অর্ধেক এলএনজি আমদানি করতে দেশে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। এমনি পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার জ্বালানি নিয়ে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।

‘গণহত্যার ঘটনায় তদন্ত চলছে হাসিনাসহ ১০৮ জনের বিরুদ্ধে’ – প্রথম আলো
এ খবরে বলা হয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৮ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
এই আসামিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তবে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা গেছে ৩৪ জনকে।
গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ৩০০টির মতো অভিযোগ এসেছে।
এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে ট্রাইব্যুনালে ১৬টি মামলা হয়েছে, যেখানে আসামির সংখ্যা ১০৮।
তদন্ত প্রতিবেদন জমা হওয়ার পর ট্রাইব্যুনাল তা গ্রহণ করলে এসব মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে।

‘ফিরবে পাচারের অর্থ’ – যুগান্তর
এ খবরে দেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে তিনটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আমলে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে সরকার যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও সুইজারল্যান্ডের পৃথক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে।
চুক্তি সম্পন্ন হলে উদ্ধারকৃত অর্থের ১০ ভাগ কমিশন হিসেবে পাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক সফলতার নজির রয়েছে।
অর্থনীতি বিষয়ক শ্বেতপত্র অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ শাসনামলে দেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে ১৬০০ কোটি ডলার পাচার হয়েছে।
এ হিসাবে ১৫ বছরে পাচার হয়েছে ২৮ লাখ কোটি টাকা।

‘Compensation caught up in red tape’ – দ্য ডেইলি স্টার
এ খবরে বলা হয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের ক্ষতিপূরণ লাল ফিতায় আটকে আছে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে শহীদদের পরিবারের জন্য পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের জন্য এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছিল।
কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এখনো অনেকে অর্থ পাননি।
ক্ষতিপূরণ পেতে আবেদনকারীদের বিসিএস চিকিৎসক বা হাসপাতালের পরিচালকের সিলসহ নথিপত্র জমা দিতে হচ্ছে।
এছাড়া, রোগীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও বিকাশ নম্বর সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে।

‘Younus seeks Canada’s help to recover laundered money’ – ঢাকা ট্রিবিউন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কানাডার সহায়তা চেয়েছেন বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার একনায়কতন্ত্রের সাথে যুক্ত অভিজাত, বন্ধু ও রাজনীতিবিদরা শত শত বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে এবং এর একটি অংশ কানাডায় পাচার করেছে।
পাচারকৃত অর্থ দিয়ে টরন্টোর ‘বেগম পাড়া’য় সম্পদ কেনা হয়েছে।
রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ বিষয়ে আলোচনা করেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version