স্থানীয় এক চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন রফিক ও তার বন্ধু শামীম। হঠাৎ করেই রফিকের ফোনে আসলো একটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল। ধরা মাত্রই ওপাশ থেকে এক অচেনা কণ্ঠ চিৎকার করে বলে উঠল, “মামা! কল দেন, ফোনে ব্যালেন্স নাই!”
প্রথমে রফিক ভেবেছিল এটি কোনো গুরুতর বিষয়। মনে হলো কেউ বিপদে পড়েছে। কণ্ঠের আতঙ্ক আর “মামা” ডাক শুনে রফিক হতবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল, “কে বলছেন? কী হয়েছে?”
ওপাশ থেকে উত্তর, “মামা, ভুল করে মেয়েটার নাম্বারে কল দিয়েছি। এখন ফোনে ব্যালেন্স শেষ। আপনি একটু কল দেন, জরুরি কথা আছে।”
রফিক তখনও পুরো ব্যাপারটি বুঝে উঠতে পারছিল না। সে আবার জিজ্ঞাসা করল, “আপনার কি সিরিয়াস কোনো বিপদ হয়েছে?”
তখন অপরিচিত কণ্ঠ গম্ভীরভাবে বলল, “বিপদ মানে বুঝছেন মামা, মেয়েটা যদি ফোন না ধরে, তাহলে জীবনের সব আশা শেষ। আপনি একটু কল দিয়ে শুধু কথা বলতে বলুন।”
রফিকের তখন হাসি আটকে রাখা কঠিন হয়ে গেল। চারপাশের সবাই মজা পেয়ে এই ঘটনায় আরও রস যোগ করতে লাগল। শামীম ফিসফিস করে বলল, “দে না কল, মানুষটা প্রেমের সংকটে আছে মনে হয়!”
তবে রফিক ঠান্ডা মাথায় বলল, “ভাই, এমন অবস্থা যে, আমার ফোনেও ব্যালেন্স নাই। আপনি চায়ের দোকানে গিয়ে কাউকে ধরে ব্যালেন্স ধার করেন।”
এই ঘটনা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ল আশেপাশে। দোকানের সবাই হেসে লুটোপুটি খেতে লাগল। কেউ বলছে, “বাঙালির প্রেমে নতুন বিপদ!” আবার কেউ বলছে, “এটা একটা জাতীয় সংকট হওয়া উচিত!”
ঘটনার শেষটা অবশ্য ততটা রোমাঞ্চকর হয়নি। রফিক জানতে পেরেছিল, ওই অপরিচিত ব্যক্তি আসলে এলাকার এক মজারু ছেলে। প্রেমের কথায় বশ করে বিভিন্ন জায়গায় এমন ড্রামা করে বেড়ায়।
প্রশ্ন টাইমস