সমকাল
ঘাটে ঘাটে টাকা দিয়েই কীটনাশক অনুমোদন
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কীটনাশক আমদানি ও সরবরাহের পুরো প্রক্রিয়াটি একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই সিন্ডিকেট নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অবৈধ উৎস থেকে নিম্নমানের কীটনাশক আমদানি করে তা সরাসরি কৃষকদের কাছে সরবরাহ করছে।
এর ফলে:
সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে।
নিম্নমানের কীটনাশক ব্যবহারে ফসলের উৎপাদন ও গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে।
কৃষকরা আর্থিক ও পরিবেশগত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
প্রতিবেদনটি আরও জানিয়েছে যে, কীটনাশক নিবন্ধন ও আমদানির দায়িত্বে থাকা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং-এর কতিপয় কর্মকর্তা এই দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত।

নয়া দিগন্ত
ভারতের সব চুক্তির প্রকাশ দাবি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শেখ হাসিনা সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে সামরিক ও বেসামরিক বিভিন্ন চুক্তি করা হয়েছে। এখন বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্টজনরা দাবি করছেন যে, এসব চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে।
তারা আরও বলেন:
যেসব চুক্তি জনগণের স্বার্থবিরোধী, সেগুলো বাতিল করতে হবে।
চুক্তি প্রকাশে স্বচ্ছতা এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।
বিশেষত, পূর্ববর্তী সরকারের নেওয়া চুক্তি ও সিদ্ধান্তের দায় জনগণ নিতে বাধ্য নয়।
এছাড়া, সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা উল্লেখ করেন যে, এমন চুক্তি বাতিল করা সম্ভব নয় বলে কিছু সরকারি চ্যানেল থেকে শোনা যাচ্ছে, তবে জনস্বার্থের পক্ষে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তারা মনে করছেন।

মানবজমিন
আন্দোলনের ‘রাজধানী’ শাহবাগ
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাহবাগ এলাকায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের গণআন্দোলন সংগঠিত হয়েছে এবং এই স্থানটি আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিশেষত:
গণজাগরণ মঞ্চ: মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দাবি করে শাহবাগে ব্যাপক আন্দোলন হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলন: বৈষম্যবিরোধী এই আন্দোলনও শাহবাগকে কেন্দ্র করে চলেছে।
এমনকি, এসব আন্দোলন গোটা দেশের মানুষের মধ্যে প্রভাব ফেললেও, শাহবাগের আন্দোলনের কারণে রাজধানীর তিনটি প্রধান হাসপাতালের রোগীদের জন্য ভোগান্তি বাড়ছে।
এগুলি:
• ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
• বারডেম
• বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
এখানে সারা দেশ থেকে রোগীরা চিকিৎসার জন্য আসেন, তবে শাহবাগ এলাকায় আন্দোলনের কারণে তাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিশাল সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

বণিক বার্তা
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ রেহানা
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর দুর্নীতির পেছনে শেখ রেহানার নাম আলোচনায় এসেছে। বিশেষ করে বেসিক ব্যাংকের ব্যাপক লুটপাটে তার ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সূত্রে সমালোচনা করা হচ্ছে।
বিশেষত:
বেসিক ব্যাংক: ২০০৯ সালের পর, তিন বছরে বেসিক ব্যাংকের লুটপাটে শেখ রেহানার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ: রাষ্ট্রায়ত্ত অন্যান্য প্রধান ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান, পরিচালক এবং এমডি নিয়োগের ক্ষেত্রে শেখ রেহানার প্রভাব ছিল ব্যাপক, যা নানা দুর্নীতির দিকে পরিচালিত করেছে।
এ বিষয়টি তৎকালীন সরকারের মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি করলেও, আওয়ামী লীগে এই বিষয়ে প্রকাশ্যে উচ্চারণের সাহস কেউই করেনি।

কালের কণ্ঠ
ভ্যাট–ট্যাক্সে দুর্বিষহ জীবন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের নতুন ভ্যাট এবং ট্যাক্স ব্যবস্থা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধি করেছে। বিশেষ করে:
খরচ বৃদ্ধি: বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ানোর ফলে সাধারণ মানুষ পরিবার চালাতে সংগ্রাম করছে।
মূল্যস্ফীতি: বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপের ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে এবং সাধারণ মানুষের জন্য জীবনযাত্রা আরও কঠিন হয়ে উঠবে।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন যে, সরকারের এই পদক্ষেপ জনসাধারণের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক চাপ সৃষ্টি করবে।

দ্য ডেইলি স্টার
IMF to crank up pressure to boost tax collection
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে কর আদায় বাড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। তারা বাংলাদেশ সরকারের উপর আরও কড়া শর্ত আরোপ করতে পারে, যা ঋণের শর্ত হিসেবে প্রযোজ্য হতে পারে।
এতে বলা হয়:
কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা: আইএমএফ বাংলাদেশের কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য বাধ্য করবে।
ঋণের শর্ত: আইএমএফের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে সফর করে সতর্ক করেছেন যে, ঋণের চতুর্থ কিস্তি প্রকাশের আগে কর আদায়ের পরিমাণ বাড়ানো বাধ্যতামূলক।
রাজস্ব ঘাটতি: বাংলাদেশের রাজস্ব আদায়ে বর্তমানে বেশ হতাশাজনক অবস্থা রয়েছে, এবং এই পরিস্থিতি আইএমএফের চাপ বাড়ানোর পেছনে অন্যতম কারণ।

নিউ এইজ
External interest payment surges by 60pc on megaproject loans
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পগুলোর বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ গত অর্থবছরে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে, সামগ্রিক ঋণ পরিশোধের খরচও বেড়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপর চাপ সৃষ্টি করছে।
বিশেষ করে:
বিদেশি ঋণ: বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধের বিপরীতে বাংলাদেশের সামগ্রিক ঋণের সুদ পরিশোধের হার ২১ শতাংশ বেড়েছে।
অর্থনৈতিক চাপ: এই পরিশোধের চাপ বাংলাদেশের জন্য একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, বিশেষত ডলারের ঘাটতি এবং ঋণের ফাঁদ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
মেগা প্রকল্প: এই ঋণগুলো মূলত দেশের মেগা প্রকল্পের অর্থায়ন থেকে এসেছে, যার ফলে সুদের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

প্রথম আলো
মানুষের পকেট থেকে যাবে ১২ হাজার কোটি টাকা
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার নতুন ভ্যাট এবং শুল্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের পরিকল্পনা করেছে। যদিও সরকার দাবি করছে যে, এই পদক্ষেপের ফলে ভোগ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে না, তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন:
অতিরিক্ত চাপ: এই পদক্ষেপের ফলে সাধারণ জনগণের উপর অতিরিক্ত আর্থিক চাপ সৃষ্টি হবে।
মূল্যস্ফীতি: শুল্ক-কর বৃদ্ধি বিশেষভাবে ফলমূল, রান্নার গ্যাস, মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর চাপ ফেলবে, যা মূল্যস্ফীতি বাড়াবে।
এছাড়া, সরকার মাল্টা আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে বৃদ্ধি করেছে, যার ফলে মাল্টার দাম কেজিতে বাড়বে ১৫ টাকা।

সুত্র- জাতীয় দৈনিক

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version