বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-এর সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট তানভীর আহমেদের লেখা প্রতিবেদন থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে জানা যায় , দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সারের সংকট ক্রমেই প্রকট হচ্ছে, এবং একে সঙ্গে সারের দামও বেড়ে গেছে। এর ফলে কৃষকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বিশেষত আমদানিকারকরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সারের সরবরাহে গড়িমসি করছেন, যার ফলে ডিলাররা সারের জন্য ১৫ থেকে ২৫ দিন অপেক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই পরিস্থিতি সংকট তৈরি করছে এবং এর প্রভাব পড়ছে ক্ষুদ্র কৃষক ও ডিলারদের ওপর।

ডিলার ও কৃষি ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সারের সরবরাহে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছে। তারা সারের জন্য প্রতিনিধি পাঠানোর বদলে সরাসরি ডিলারদের কাছ থেকে কাগজপত্র নিয়ে সরবরাহ করছেন, ফলে সারের সরবরাহে ব্যাপক দেরি হচ্ছে।

এ বিষয়ে অনেক ডিলার জানিয়েছেন যে, সরকারি ভর্তুকির সার পেতে তারা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছেন, যদিও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তারা পূর্বে খুব সহজে দ্রুত সারের উত্তোলন করতে পারতেন।

সরকারি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নওয়াপাড়া ট্রেডার্সের সিন্ডিকেটের অভিযোগের কারণে সারের সরবরাহে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানটি সরকারি ভর্তুকির সার সরবরাহের দায়িত্বে থাকলেও তারা ডিলারদের ভোগান্তি সৃষ্টি করছে। ডিলারদের ভাষ্য অনুযায়ী, তারা দীর্ঘদিন ধরে সারের জন্য টাকা পাঠালেও সার পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।

এদিকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা এই ধরনের অভিযোগের বিষয়ে কোনো তথ্য পাননি। তবে কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পেলে তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।

অপরদিকে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করেছেন, এই সিন্ডিকেটটি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আমলে গড়ে উঠেছে এবং এখনও তা বিদ্যমান।

এই পরিস্থিতিতে সারের সংকট দূর করার জন্য সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা উঠেছে। এছাড়া, সারের সরবরাহে দেরির অভিযোগের বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, যথাযথভাবে টাকা জমা দেওয়ার পর সারের সরবরাহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে তারা সকল আমদানিকারককে নির্দেশনা দেবেন।

সার সরবরাহে শৃঙ্খলা আনতে সরকারের আরো কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজন।

(সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম)

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version