খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষত, তিনি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, এবং লিভারের সমস্যাসহ অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশে তার চিকিৎসা চললেও পরিবারের সদস্যরা এবং তার দল মনে করেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়াই উত্তম। লন্ডন সফরের মূল কারণও তাই চিকিৎসা। এর মাধ্যমে তিনি আধুনিক মেডিকেল টেকনোলজির সুবিধা নিতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।


লন্ডনে অবস্থান করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দীর্ঘদিন পর মা ও ছেলের সাক্ষাৎ হওয়ায় এটি পারিবারিকভাবে আবেগঘন মুহূর্ত হতে পারে। তবে রাজনীতিবিদদের ভাষ্যমতে, এই সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে বিএনপির ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়েও আলোচনা হতে পারে। বিশেষ করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে এ সাক্ষাৎ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।


এই সফর নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। অনেকে মনে করেন, এটি শুধুই চিকিৎসা নয়, বরং রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের অংশ। খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা এবং তারেক রহমানের সাথে আলোচনা নিয়ে জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক আগ্রহ বেড়েছে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, এর মাধ্যমে বিএনপি কোনো নতুন কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করতে পারে কি না।

সরকার পক্ষ থেকে এ সফর নিয়ে বিভিন্ন মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। আবার বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করছেন, এই সফর দলকে নতুনভাবে সংগঠিত করার একটি সুযোগ এনে দিতে পারে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version